শিরোনাম
মহানবীকে হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি মুখপাত্রের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ডোমজুড়ে ১২ ঘন্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল জনতা। এতে শহরে বিশাল যানজট লেগে যায়।
বিক্ষোভকারীরা ডোমজুড়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। তারা প্রচুর টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাস্তার মাঝখানে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে টায়ার। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
রাস্তা অবরোধ শুরু হওয়ার পরেই যানজট দেখা দেয়। হাজার হাজার গাড়ি আটকে পড়ে। এই জাতীয় সড়কটি খুবই ব্যস্ত একটি রাস্তা। ফলে গোটা এলাকায় ভয়ংকর যানজট তৈরি হয়। দ্বিতীয় হুগলি সেতু পর্যন্ত যানজটের কবলে পড়ে।
অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, মহানবীর (সা.) বিরুদ্ধে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে তারা রাস্তা অবরোধ করেছেন।
ওদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘আমি অবরোধকারীদের হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, তারা যেন রাস্তা খালি করে দেন’। কিন্তু তার সেই আবেদনে কাজ হয়নি। অবরোধ চলতে থাকে।
মমতা বলেন, ‘তিনি চাইলে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু স্পর্শকাতর বিষয় বলে তা করছেন না’। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদ এভাবে বাংলায় কেন হবে? প্রতিবাদ করতে চাইলে এফআইআর করুন’।
মমতার সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। মমতা জানান, ‘একজন ব্যক্তি ওই অবরোধের ডাক দিয়েছেন। তিনি নিজেকে ইমাম বলছেন’। মমতা বলেন, ‘নাখোদা মসজিদের ইমাম ভিডিওবার্তায় অবরোধ সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেছেন’। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষোভ হওয়া সঙ্গত। কিন্তু রাস্তা ছেড়ে বিক্ষোভ দেখান’। মমতা বলেন, ‘অবরোধের ফলে অ্যাম্বুলেন্সও আটকে গেছে’। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, বিজেপি-র অপশাসন থেকে নজর ঘোরাতে এখানে এরকম করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে এই অবরোধ চলে। তারপর তা তুলে নেয়া হয়। এর ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে যানজটে প্রচুর গাড়ি আটকে পড়ে। অনেক মানুষ, বিশেষ করে বাচ্চারা দুর্দশায় পড়েন।
সূত্র: দেশ রূপান্তর