দিনে ২০০ জন পর্যন্ত সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেন: জেলেনস্কির উপদেষ্টা

ফানাম নিউজ
  ১০ জুন ২০২২, ০৮:৪১

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, রাশিয়ার হামলায় প্রতিদিন তাঁদের ১০০ জন সেনাসদস্যের মৃত্যু হচ্ছে। আহত হচ্ছেন আরও ৫০০। ঠিক এই দিনই নিজ সেনাদের মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াকও। তাঁর হিসাবে, প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ জন ইউক্রেনীয় সেনার প্রাণহানি ঘটছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখল নিতে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। রুশ বাহিনীর অবিরাম বোমা হামলায় চাপে রয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা। পোদোলিয়াকের ভাষায়, দনবাসে পারমাণবিক অস্ত্র বাদে প্রায় সব ধরনের অস্ত্রই ব্যবহার করছে রাশিয়া। এর মধ্যে রয়েছে, ভারী কামান, রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা আর যুদ্ধবিমান।

পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে সক্ষমতার দিক দিয়ে রাশিয়ার দিক চেয়ে ইউক্রেন পিছিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কির এই উপদেষ্টা। এ কারণেই ইউক্রেনের বিপুলসংখ্যক সেনা হতাহত হচ্ছেন বলে দাবি তাঁর। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগের কথাই সামনে এনেছেন তিনি—চাই পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তা।

ইউক্রেনের ১৫০ থেকে ৩০০টি রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে জানান মিখাইলো পোদোলিয়াক। তিনি বলেন, ‘কামান পেতে আমরা যে দাবি করেছি, তা খামখেয়ালি কোনো বিষয় না, বরং যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামলাতে এর প্রয়োজন রয়েছে।’

শুধু ইউক্রেনেরই না, পাল্টা হামলায় বিপুলসংখ্যক রুশ সেনাও মারা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ। একই কথা দনবাসের লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সার্গেই গাইদাইয়েরও। তাঁর ভাষায়, রাশিয়ার সেনারা ‘মাছির মতো মারা যাচ্ছেন’। তবে পোদোলিয়াকের সুরে সুর মিলিয়ে এটাও বলতে ভোলেননি যে, কামানের অভাবে তারা সমস্যার মুখে রয়েছেন।

পূ্র্ব ইউক্রেনে এখন মূল লড়াইটা চলছে সেভেরোদোনেৎস্ক শহর ঘিরে। চলছে রাশিয়ার তীব্র হামলা। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, রাশিয়ার কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দনবাস শেষ পর্যন্ত কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা সেভেরোদোনেৎস্কের লড়াইয়ে নির্ধারিত হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

সবকিছুর মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে কিয়েভ প্রস্তুত না বলে জানিয়েছেন মিখাইলো পোদোলিয়াক। ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ইউক্রেনের অঞ্চলগুলো ফিরিয়ে দিলেই কেবল শান্তি আলোচনার পথে হাঁটবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।