কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলোর মাইনমুক্ত জরুরি

ফানাম নিউজ
  ০৯ জুন ২০২২, ০৯:২৭

ইউক্রেনে আটকে থাকা খাদ্যশস্য নিয়ে উদ্বেগ দূর করতে হলে কৃষ্ণসাগর উপকূলীয় বন্দরগুলোকে মাইনমুক্ত করতে হবে। সম্প্রতি তুরস্ক সফরের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

এ সময় ইউক্রেন বন্দর থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও রাশিয়া প্রস্তুত বলেও জানান মন্ত্রী। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আলাপ করতে মঙ্গলবার আঙ্কারায় পৌঁছেছিলেন ল্যাভরভ। এএফপি।

রাশিয়ার অবরোধের কারণে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ ইউক্রেনের বন্দরে আটকে থাকা খাদ্যশস্য বিশেষ করে গম আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্ক। সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লুর এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ল্যাভরভ বলেন, ‘আমরা আমাদের তুর্কি সহকর্মীদের সহযোগিতা করতে এ দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত।’ এ সময় বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্য সরবরাহের গতি বাড়ানোর স্বার্থে রাশিয়ার ওপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞার অবসান দাবি করেন কাভুসোগ্লু।

জাতিসংঘের অনুরোধে মাইন থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো থেকে সামুদ্রিক মালবাহী যানগুলোকে নিরাপত্তা দিতে নিজস্ব পরিষেবা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কাভুসোগ্লু বলেন, ‘আমরা শস্য রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করতে জাতিসংঘ, ইউক্রেন, রাশিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে একটি নিরাপদ সমুদ্র করিডোর খোলার প্রক্রিয়া নিয়ে এগোচ্ছি।’

ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। কারণ, আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সমস্যা সমাধানে বন্দরগুলোতে থাকা মাইনগুলো নিষ্ক্রিয় করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নয়তো, নিরাপদ করিডোর খোলা সম্ভব হবে না।’

সেসঙ্গে মস্কো আরও দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে শস্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।