ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা: জাতিসংঘকেই হুমকি উ. কোরিয়ার

ফানাম নিউজ
  ০৪ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৫৭
আপডেট  : ০৪ অক্টোবর ২০২১, ০৭:০৪

যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের অস্ত্র পরীক্ষার বেলায় জতিসংঘ নীরব, কিন্তু উত্তর কোরিয়া পরীক্ষা চালালেই তাদের মাথাব্যথা শুরু হয়। এভাবে সংস্থাটি দুমুখো সাপের মতো আচরণ করছে অভিযোগ করে এর জন্য জাতিসংঘকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কিম জং উনের সরকার। রোববার (৩ অক্টোবর) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, গত শুক্রবার (১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিল। উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগের জেরে এ বৈঠক আহ্বান করা হয়।

বৈঠকটির মাত্র একদিন আগেই নতুন বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল পিয়ংইয়ং। এছাড়া কয়েকদিনের ব্যবধানে পুরোপুরি নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালিয়েছে তারা।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিভাগের পরিচালক জো চল সু জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠক দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি ‘প্রকাশ্য অবজ্ঞা, অযৌক্তিক অনধিকারপ্রবেশ ও গুরুতর উসকানি’।

জো’র অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ও মিত্রদের সঙ্গে অস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে নীরব থাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ‘আত্মরক্ষামূলক’ কার্যক্রম নিয়ে তাদের সমস্যা।

কেসিএনএ প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এটি জাতিসংঘের কার্যক্রমের প্রাণ- নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও সমতার প্রতি অবজ্ঞা এবং দ্বৈত আচরণের সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।

উত্তর কোরিয়ার এ কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ যদি দ্বৈত আচরণের মাধ্যমে দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন অব্যাহত রাখে, তাহলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।