ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি পুতিনের

ফানাম নিউজ
  ০৬ জুন ২০২২, ১২:৪৭

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হলে ইউক্রেনেও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সম্প্রতি রাশিয়া ওয়ান টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, আমেরিকা যদি ইউক্রেনকে এরকম ক্ষেপণাস্ত্র (৪০-৭০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু হামলায় সক্ষম) সরবরাহ করে, তাহলে আমরা ইউক্রেনের অক্ষত জায়গাগুলোতে হামলা চালাব।

যেসব অস্ত্র এখনো ব্যবহার করিনি সেগুলোর ব্যবহার করব। এবং তা আমাদের অনেক বেশি আছে। তবে কোন কোন অঞ্চলকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি পুতিন। এর আগে ইউক্রেনকে (৪০-৭০ কিলোমিটার) অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দূরপাল্লার রকেট-ব্যবস্থা সরবরাহ করতে সম্মত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ হুঙ্কার দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। আরও বলেন, ইউক্রেনে পশ্চিমাদের আরও অস্ত্র সরবরাহের অর্থ হলো ‘সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করা’। এএফপি।

একাধিক বিস্ফোরণে আবারও কাঁপল কিয়েভ, আতঙ্ক : রুশ হামলায় আবারও কেঁপে উঠেছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। রোববার সকালের দিকে কিয়েভে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শহরটির মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণে সেভেরোদনেস্কের একটি অংশ পুনরুদ্ধার করার একদিন পর কিয়েভে এই হামলা হলো।

সিএনএন রাজধানীর দারনিস্কি ও দিনিপ্রোভস্কি জেলায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিয়েভের মেয়র টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপে এক স্ট্যাটাসে এসব তথ্য জানিয়েছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বিস্ফোরণের পর শহরে ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন তিনি। সরকারি পরিষেবাগুলো ইতোমধ্যে বিস্ফোরণস্থলে কাজ করতে শুরু করেছে।

সেভারোদনেস্ক দখলে নিতে রাশিয়ার সর্বশক্তি ব্যবহার : ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়া কৌশলগত পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভারোদনেস্ক দখলের জন্য সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী শহরটিতে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এর ফলে মস্কোর সৈন্যরা কিছু এলাকা থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।

লুহানস্ক ও এর নিকটবর্তী দোনেস্ক অঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিকোলাইভে অন্তত ১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। লুহানস্কের আঞ্চলিক গভর্নর সের্গি গাইদাই অনলাইনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রুশ বাহিনী সেভেরোদনেস্কের বেশিরভাগ এলাকা দখল করেছে।

দনবাসে প্রথম ইলেকট্রনিক জ্যামিং সিস্টেম মোতায়েন রাশিয়ার : দনবাস এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়া সেখানে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক জ্যামিং সিস্টেম স্থাপন করেছে। পাশাপাশি সেখানে রুশ যুদ্ধবিমানের টহলও বেড়েছে। লুহানস্ক প্রদেশে কিয়েভ নিযুক্ত গভর্নর সের্গি গাইদাই বলেছেন যে, সেভেরোদনেস্কের মূল শহরের জন্য লড়াইয়ে স্থল ইউনিটগুলো ‘বিশাল ক্ষতির’ সম্মুখীন হওয়ায় অগ্রগতির জন্য রাশিয়াকে বিমান হামলার ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল।

রাশিয়াকে নিয়ে ম্যাক্রোঁর মন্তব্যে খ্যাপেছে ইউক্রেন : ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ঐতিহাসিক’ ভুল করেছেন। কিন্তু এজন্য রাশিয়াকে অপমান করা উচিত হবে না,’ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর এ মন্তব্য মোটেও পছন্দ হয়নি ইউক্রেনের।

ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইটারে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা লেখেন, ‘রাশিয়ার অপমান এড়ানোর আহ্বান শুধু ফ্রান্স এবং অন্য যে দেশগুলো এটির জন্য আহ্বান করবে তাদের অপমান করতে পারে।