শিরোনাম
যেকোনো মানুষের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাগর পাড়ি দেওয়া একটি অর্জন। সেখানে জাপানের ৮৩ বছরের সমুদ্র অভিযাত্রী কেনিচি হোরি একাধিকবার এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানায়, শনিবার প্রশান্ত মহাসাগরে বিরামহীন ইয়ট চালিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী অভিযাত্রী হিসেবে রেকর্ড করেছেন কেনিচি।
স্থানীয় সময় শনিবার ভোর ২টা ৩৯ মিনিটে পশ্চিম জাপানের কি উপদ্বীপে পৌঁছান কেনিচি। এর আগে দুই মাসের বেশি সময় নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর অতিক্রম করেছেন তিনি।
‘আপনার স্বপ্নগুলোকে শুধু স্বপ্ন হিসেবে থাকতে দেবেন না। একটি লক্ষ্য রাখুন এবং তা অর্জনের জন্য কাজ করুন। একটি সুন্দর জীবন অপেক্ষা করছে।’
এবারের অভিযানের শেষ গন্তব্য ওয়াকায়ামা’র দিকে যেতে যেতে সিএনএনকে স্যাটেলাইট ফোনে এমন অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্য করেন কেনিচি।
গত ২৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকো থেকে ৯৯০ কেজি ওজনের ১৯ ফুট দীর্ঘ সানতরি মারমেইড থ্রি নামের জলযানে যাত্রা করেন কেনিচি।
তিনি জানান, এই ভ্রমণের কিছু অংশ খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু ঠিকই প্রতিদিন স্যাটেলাইট ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কারণ পরিবারকে উদ্বিগ্ন রাখতে চান না কেনিচি। তবে পুরো ভ্রমণে তিনি কোনো বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাকে গত ১৬ এপ্রিল হাওয়াইয়ের ওহু দ্বীপ থেকে দেখা গেছে।
শনিবার গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পর কেনিচি হোরিকে সংবর্ধনা জানানো হবে।
এটাই কেনিচির প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথম ‘মহাকাব্যিক’ ভ্রমণ নয়। ১৯৬২ সালে যখন তিনি গাড়ির যন্ত্রাংশের বিক্রয়কর্মী, মাত্র ২৩ বছর বয়সে ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সফলভাবে প্রশান্ত মহাসাগরে বিরতিহীন ভ্রমণ করেছিলেন। ইউএস ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস অনুসারে, জাপান থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত ভ্রমণ করেন কেনিচি।
সেইবার ১৯ ফুট দৈর্ঘ্যের প্লাইউড বোট মারমেইডে ৯৪ দিন ধরে সমুদ্র জুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন। কোনো অফিশিয়াল কাগজপত্র ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া তার ওই ভ্রমণ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়।
১৯৯৯ সালেও জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জলপথে ভ্রমণ করেন কেনিচি হোরি। তার ইচ্ছে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত সমুদ্রযাত্রা চালিয়ে যাওয়া।
সূত্র: সিএনএন