শিরোনাম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আজ ১০০তম দিনে গড়িয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রাশিয়া। ইতিমধ্যেই দেশটির ২০% ভুমির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে রুশ সেনারা।
ওদিকে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ পশ্চিমা দেশগুলোকে আরও দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন।
যুক্তরাজ্যের সামরিক গোয়েন্দারা বলেছেন, রাশিয়া এখন পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ’কৌশলগত সাফল্য’ অর্জন করছে। তবে এর জন্য তাদেরকে প্রচুর মূল্যও দিতে হচ্ছে। বিশাল সংখ্যক সৈন্য হারাচ্ছে রাশিয়া।
সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে তীব্র লড়াই চলছে। শহরটি প্রায় রুশ সেনাদের দখলে চলে গেছে। সেভেরোদোনেৎস্ক দখল করে নিলে প্রায় পুরো লুহানস্ক প্রদেশ রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী দুসপ্তাহের মধ্যেই পুরো লুহানস্ক অঞ্চল রুশ সেনাদের দখলে চলে যাবে।
লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক সহ পুরো দনবাস অঞ্চল দখল করে নেওয়াই এখন রাশিয়ার লক্ষ্য। গত ২৫ মার্চ রাশিয়া ঘোষণা করে যে, এখন থেকে তাদের প্রধান লক্ষ্য হবে দনবাসকে মুক্ত করা। এরপরই রুশ সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অবরোধ ছেড়ে দেশটির দনবাস অঞ্চলের দিকে চলে আসে।
ওদিকে, ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রকেট-ব্যবস্থা সরবরাহের ঘোষণা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এই সহায়তা দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুনে ঘি ঢালছে। এর ফলে কিয়েভ যেমন শান্তি আলোচনায় আগ্রহ হারাবে তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়বে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মতে, কূটনীতির মধ্য দিয়েই ইউক্রেনে রুশ অভিযান শেষ হবে। তবে আলোচনার টেবিলে ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ মনোবল দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু ইউক্রেনের হাতে এমন অস্ত্র আসাকে রাশিয়া ঝুঁকি হিসেবেই দেখছে।
রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, ইউক্রেনে এসব নতুন অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। কৌশলগতভাবে মস্কোকে হারাতে ইউক্রেনে যুদ্ধ প্রলম্বিত করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা নজিরবিহীন ও বিপজ্জনক। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রকেট-ব্যবস্থা ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে তাদের আশা, কিয়েভ কথা রাখবে। রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালাতে এটা ব্যবহার করা হবে না।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদোনেৎস্কে কয়েক দিন ধরে জোর লড়াই চলছে। স্থানীয় কর্র্তৃপক্ষের অভিযোগ, রাসায়নিক (নাইট্রিক অ্যাসিড) হামলা চালাতে সক্ষম ট্যাংক মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা থেকে শহরের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর