শিরোনাম
জ্ঞানবাপি মসজিদ নিয়ে বিতর্কে 'পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে পথ' খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে এ আহ্বান জানান তিনি।
মসজিদ কমপ্লেক্সে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি আছে কিনা এবং হিন্দুদের দাবি অনুযায়ী 'শিবলিঙ্গ' পাওয়া গেছে কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য আদালতের নির্দেশিত চিত্রগ্রহণ নিয়ে আইনি লড়াই করছে হিন্দু এবং মুসলমানরা।
আরএসএস প্রধান বলেন, কিছু জায়গার প্রতি আমাদের বিশেষ ভক্তি আছে এবং আমরা সেগুলো সম্পর্কে কথা বলি। তবে আমাদের প্রতিদিন একটি করে নতুন বিষয় জাগিয়ে তোলা উচিত নয়। কেন আমাদেরকে বিরোধ বাড়াতে হবে? জ্ঞানবাপীর প্রতি আমাদের ভক্তি আছে এবং সেই অনুসারে যদি কিছু করি, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজেন কেন?
নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেন, জ্ঞানবাপীর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমরা ইতিহাস বদলাতে পারি না। আজকের হিন্দু বা আজকের মুসলমান কেউই এটি তৈরি করেনি। সেই সময়েই এটি তৈরি করা হয়েছিল। ইসলাম বাইরে থেকে আক্রমণকারীদের মাধ্যমে এসেছে। হামলায়, যারা ভারতের স্বাধীনতা চেয়েছিল তাদের মনোবল নিঃশেষ করার জন্য মন্দিরগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, হিন্দুদের বিশেষ ভক্তি আছে এমন জায়গাগুলো নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। হিন্দুরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়। আজকের মুসলমানদের পূর্বপুরুষরাও হিন্দু ছিল। তাদের চিরকাল স্বাধীনতা বঞ্চিত রাখতে এবং মনোবল নষ্ট করার জন্য এটি (মন্দির ধ্বংস) করা হয়েছিল। তাই হিন্দুরা মনে করেন তাদের (ধর্মীয় স্থান) পুনরুদ্ধার করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, মনে সমস্যা থাকলে তা জেগে উঠবে। এটা কারো বিরুদ্ধে নয়। পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে পথ বের করুন। যদি পথ সব সময় বের না হয়, মানুষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। যদি তা করা হয় তাহলে আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবে তা মেনে নিতে হবে। বিচার ব্যবস্থাকে ধার্মিক ও সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান বিবেচনা করে সিদ্ধান্তগুলো মেনে চলা উচিত। আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের প্রশ্ন তোলা উচিত নয়।
জ্ঞানবাপি মসজিদ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই তাজমহলের 'ইতিহাস' তদন্তের জন্য করা আবেদন গত মাসে খারিজ করে দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এর কয়েক দিন পরে দিল্লির একটি আদালত কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে হিন্দু এবং জৈন দেবতাদের মূর্তি পুনঃস্থাপনের জন্য করা আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী ৯ জুন দিন ধার্য করেছেন। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই) কুতুব মিনার উপাসনার স্থান নয় বলে পিটিশনের বিরোধিতা করেছিল।
সূত্র : এনডিটিভি