শিরোনাম
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আবাদানে একটি ভবন ধসে হতাহতের ঘটনায় সৃষ্ট বিক্ষোভে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যা দেশটির স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একটি বিরল ঘটনা।
খুজেস্তান প্রদেশের আবাদান শহরে সম্প্রতি একটি ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ১০ তলা ওই ভবন ধসে মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩৭ জন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ভবন ধসে হতাহতের প্রতিবাদে খুজেস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ‘আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নিপাত যাক’ স্লোগানও দিয়েছে।
ভবন ধসে পড়ার জন্য দুর্নীতি এবং নিরাপত্তায় শিথিলতাকে দায়ী করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ভবন নির্মাণ বিধি লঙ্ঘন করার কারণে এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ইরানের বিক্ষোভকারীরা ভবন ধসের জন্য সরকারের অবহেলা এবং ব্যাপক মাত্রার দুর্নীতিকেই দায়ী করেছে।
টুইটারে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদেরকে ‘খামেনি নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে শোনা গেছে। যা দেশটিতে অনেকটাই অস্বাভাবিক ও বিরল ঘটনা।
দক্ষিণাঞ্চলের বুশেহের বন্দর নগরীতেও বিক্ষোভকারীদেরকে খামেনিকে উদ্দেশ্য করে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ইরানের অন্যান্য আরও নগরীতেও বিক্ষোভের ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।
খামেনির বিরুদ্ধে স্লোগানকে ইরানে শেষ সীমা (রেড লাইন) বলেই বিবেচনা করা হয়। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। আরেকটি ভিডিওতে দাঙ্গা পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে।
আবাদানের ঘটনাটি কয়েক বছর ধরে ইরানের সবচেয়ে ভয়বহ দুর্ঘটনা। ওই ভবনটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক দুই কাজেই ব্যবহার করা হতো। উদ্ধারকারীরা এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়াদের খুঁজছে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।