শিরোনাম
ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই জ্বালানি ইস্যুতে রাশিয়ার বিকল্প খুঁজছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমাদেশগুলো। তেল ও গ্যাসের ক্ষেত্রে রুশ নির্ভরশীলতা কমাতে চায় তারা। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন শীতে বিশ্বজুড়ে তীব্র গ্যাসের সংকট দেখা দিতে পারে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মতো এশিয়ার দেশগুলো।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলো এলএনজি কেনার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। এটি এমন একটি গ্যাস যা জাহাজে পরিবহন করা যায়। প্রয়োজন হয় না পাইপ লাইনের। ফলে এটি কেনায় বেশি নজর দিচ্ছে ইউরোপ। তাছাড়া এলএনজি কয়লা ও তেলের চেয়ে অনেক বেশি পরিষ্কার।
রাইসটাড এনার্জির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতার অর্থ হলো অন্য রপ্তানিকারকদের কাছে শরণাপন্ন হওয়া। এতে এলএনজির চাহিদা হু হু করে বেড়ে যাবে। ছাড়িয়ে যাবে বর্তমান সরবরাহ ব্যবস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প খুঁজে বিশ্বের এলএনজি বাজারকে অস্থিতিশীল করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মূলত ২০২১ সালের পর থেকেই জ্বালানির বাজারে ভারসাম্যহীনতা বিরাজ করছে।
এলএনজি আমেরিকার সম্পাদক রুথ লিয়াও বলেন, ২০১০ সাল থেকে এলএনজির সবচেয়ে বড় আমদানিকারক এশিয়া। কিন্তু এই অঞ্চলের কিছু ক্রেতার জন্য ইউরোপের ধনী অর্থনীতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, এলএনজি সরবরাহের ক্ষেত্রে আসন্ন শীতে ঝুঁকি রয়েছে। কারণ এসময় এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে।
রাইসটাড এনার্জির গ্যাস ও এলএনজির শীর্ষ বিশ্লেষক কুশাল রমেশ বলেন, ইউরোপে গ্যাসের সরবরাহ বাড়লে এশিয়ার দেশ বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ডয়েচে ব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ এরিক হেম্যান বলেন, এক্ষেত্রে ক্রেতাদের উচিত দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তি সই করা।
বিশ্লেষণ সংস্থা ভর্টেক্সের তথ্য অনুযায়ী, দাম বাড়ার কারণে গত বছরের নভেম্বর থেকে ভারত ও পাকিস্তান এলএনজির আমদানি ১৫ শতাংশ কমিয়েছে।
রাইসটাড এনার্জি পূর্বাভাস দিয়েছে, এ অবস্থায় কিছু দেশে স্থায়ীভাবে গ্যাসের চাহিদা কমতে পারে। বাড়তে পারে তেল ও কয়লার ব্যবহার।
সূত্র: সিএনএন