শিরোনাম
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি ৯০ শতাংশ কমাতে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এর ফলে সমুদ্রপথে রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল আমদানি বন্ধ হবে।
হাঙ্গেরির বিরোধিতার কারণে রাশিয়ার উপর এই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এক ধরনের সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে। এই দেশটির বিরোধিতার কারণে আপাতত পাইপলাইনে তেল আমদানি বন্ধ হচ্ছে না।
‘এই সমঝোতার ফলে রাশিয়া যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় করছে সেটির বড় উৎস বন্ধ হবে।’ বলেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিচেল।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা সোমবার কয়েক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশই অংশ নিয়েছে।
মিচেল বলেন, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক এবং তিনটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবার ব্যাপারে ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছে।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে ইউরোপীয় কমিশন প্রথমে প্রস্তাব করেছিল।
এ জন্য একমাস আগে কমিশন তাদের সদস্য দেশগুলোর জন্য একটি আইনও তৈরি করেছিল। কিন্তু হাঙ্গেরির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা আসে। হাঙ্গেরি তার চাহিদার ৬৫ শতাংশ তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আমদানি করে।
হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর অরবান বলেছিলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তার দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সমুদ্রপথে রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে তেল রপ্তানি করে সেটি বন্ধ হবে। সমুদ্রপথ দিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে দুই-তৃতীয়াংশ তেল আমদানি করে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা আরও বিস্তৃত হবার সুযোগ ছিল। কারণ, জার্মানি এবং পোল্যান্ড এ বছরের মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে ধীরে ধীরে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আমদানি বন্ধ করে দিতে স্বেচ্ছায় সম্মত হয়েছে।
হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক এবং স্লোভাকিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এর ফলে বাকি থাকবে ১০ থেকে ১১ শতাংশ।
তবে বৈঠকে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেন, জ্বালানি সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগে আমাদের সমাধান দরকার, তারপর নিষেধাজ্ঞা।
সূত্র: আলজাজিরা