শিরোনাম
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে অপসারণের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন হাজারো মানুষ। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির ১৬০টির বেশি শহরে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ব্রাজিলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই তাঁদের এ পদক্ষেপ। খবর বিবিসির।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচিত হওয়ার পর বলসোনারোর জনপ্রিয়তা এখন অনেকটাই কমেছে। তাঁকে নিয়ে ক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়েছে করোনা মহামারির সময়। ব্রাজিলের অনেক বাসিন্দা মনে করেন, করোনা মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলসোনারো সরকার। মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখের বেশি মানুষের।
গতকালের বিক্ষোভের আয়োজন করে ব্রাজিলের বিরোধী দল ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। এ সময় লোকজনকে বলসোনারোর অপসারণের দাবিতে নানা প্রতীক নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্য থেকে একজনের কথা হয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপির সঙ্গে। ভালদো অলিভেইরা নামের ওই বিক্ষোভকারী বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া বিশ্বের সবকিছুই প্রেসিডেন্ট তুলে ধরছেন। দেশে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি রয়েছে। তাই আমরা এখানে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এসেছি।’
শুধু বিক্ষোভই না, বলসোনারোকে অভিশংসনের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শতাধিক আবেদন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে তদন্তের অনুমোদনও দিয়েছেন ব্রাজিলের সর্বোচ্চ আদালত। তবে নিজের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই মানতে নারাজ বলসোনারো।
এদিকে গতকালের বিক্ষোভ বলসোনারোর বিপক্ষে গেলেও গত মাসেই কিন্তু ঘটেছিল বিপরীত ঘটনা। সেপ্টেম্বরে একাধিক সমাবেশে অংশ নেন প্রেসিডেন্টের সমর্থকেরা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বলসোনারোর ডাকে যে এখনো অনেক মানুষ সাড়া দেন, তা বোঝাতেই ওই সমাবেশগুলোর আয়োজন করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী লুইজ ইন সিও লুলার কাছে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বলসোনারো। জনসমর্থনের মাপকাঠিতে বর্তমান প্রেসিডেন্টের চেয়ে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন লুলা।
আগামী বছরের অক্টোবরের দিকে ব্রাজিলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ব্রাজিল সরকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে একটি জরিপ করেছে অ্যাটলাস ইনস্টিটিউট। সেখানে দেখা গেছে, এ মুহূর্তে ব্রাজিলের ৬১ শতাংশ বাসিন্দা মনে করেন, দেশ পরিচালনায় বলসোনারো সরকারের কর্মকাণ্ড একেবারেই সন্তোষজনক নয়। এর আগে ২০১৯ সালে ক্ষমতায় বসায় সময় বলসোনারোর বিপক্ষে ছিলেন ২৩ শতাংশ মানুষ।