শিরোনাম
সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকে রাজধানী অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের কর্মী-সমর্থকরা।
তবে এই কর্মসূচি ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সমাবেশে আসার পথে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। এ সময় পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। লংমার্চ থেকে অনেককে গ্রেপ্তারও করছে পুলিশ।
ইমরান খানের সমর্থনে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের সময় গুলিতে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের পর মঙ্গলবার সরকার ইমরানের এই সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
জবাবে ইমরান খান তরুণ সমাজকে এই বাধা অতিক্রম লংমার্চে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট গভীর হওয়ায় নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন ইমরান খান।
ডন ডটকম নিশ্চিত করতে পেরেছে যে, সমাবেশের উদ্দেশ্যে পেশোয়ার ছেড়েছে ইমরান খান। তিনি হেলিকপ্টারে খাইবার পাখতুনখোয়ার ওয়ালি খান ইন্টারচেঞ্জে পৌঁছার পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।
এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইমরান খানকে বহন করা হেলিকপ্টার ওয়ালি ইন্টারচেঞ্জে পৌঁছেছে। তার সমর্থকরা হেলিকপ্টারের চারপাশে ভিড় জামিয়েছেন।
পিটিআইয়ের অন্যান্য নেতারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসছেন। এর মধ্যে হামাদ আজাহার, ইয়াসমিন রশিদসহ আরও কয়েকজন নেতা লাহোর থেকে এবং শহীদ কাট্টাক কারাক থেকে রওনা দিয়েছেন।
এদিকে লাহোরে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের উপর পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে দেখা গেছে ভিডিও ফুটেজে। এ সময় ১০ জনকে আটকও করে পুলিশ।
ডন ডটকম জানায়, ইসলামাবাদে লংমার্চে আসার সময় অনেক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পিটিআই সমর্থকদের উপর পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
বাধার মুখে শাহদারা এলাকা থেকে লংমার্চ বন্ধ করতে হয়েছে বলে পিটিআইয়ের পোস্ট করা টু্ইট থেকে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনাটি সামনে আসার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বক্তব্য রাখার জন্য সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।
ইসলামাবাদে বুধবার লংমার্চে যোগ দিতে ইমরান তার সমর্থকদের আহ্বান জানিয়ে সরকারকে সতর্ক করেছিলেন যে নতুন নির্বাচনের জন্য সংসদ ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত রাজধানী ছেড়ে যাবে না। তিনি হাজারো লোক জড়ো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সূত্র: ডন ডটকম