শিরোনাম
অনলাইনের যুগে কেনাকাটা এখন অনেকটাই সহজ। কষ্ট করে রোদের মধ্যে না বেরিয়ে ঘরে বসেই কিনে ফেলা যায় প্রয়োজনীয় পণ্যটি। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অনলাইন কেনাকাটায় মানুষের ঝোঁক বেড়েছে আরও বেশি। এর ফলে প্রায়ই দেখা যায়, ঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। চাহিদা বাড়ার আরেকটি সমস্যা হলো, পণ্যের মজুত দ্রুত ফুরিয়ে যায়। তখন বাড়তে থাকে দামও।
তবে চাহিদা যতই বাড়ুক, সাধারণ একটি প্লাস্টিক বালতির দাম ৪০ হাজার টাকা হবে, তা নিশ্চয় কল্পনাতীত! অথচ এমনটাই দেখা গেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের ভারতীয় শাখার ওয়েবসাইটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের খবর অনুসারে, অ্যামাজন ইন্ডিয়ায় সম্প্রতি একটি প্লাস্টিকের বালতির বিক্রয়মূল্য লেখা দেখা গেছে ২৫ হাজার ৯০০ রুপি (২৯ হাজার ৪৭৯ টাকা প্রায়)।
তার চেয়েও আশ্চর্যের বিষয়, লাল রঙের ওই বালতির আসল দাম ছিল নাকি ৩৫ হাজার ৯০০ রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪০ হাজার ৭০৫ টাকা প্রায়! এর ওপর ২৮ শতাংশ ছাড় দেওয়ায় বিক্রয়মূল্য ২৫ হাজার ৯০০ রুপিতে দাঁড়ায়।
দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় ক্রেতারা যেন সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য আবার মাসিক কিস্তিতে বালতি কেনার সুযোগও রেখেছিল অ্যামাজন ইন্ডিয়া! তবে আগ্রহীদের জন্য চিন্তার বিষয় হলো, ওই বালতি মাত্র এক পিসই ছিল স্টকে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এসবের স্ক্রিনশট। অনেকেই বলেছেন, হয়তো কারিগরি ত্রুটির কারণে এমন উদ্ভট মূল্য লেখা দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ মজা করে বলেছেন, অন্তত কিস্তিতে কেনার সুযোগ রেখেছে অ্যামাজন, তাতেই তারা খুশি!
পরে অবশ্য অ্যামাজন ইন্ডিয়ার সাইটে লাল রঙের ওই প্লাস্টিক বালতির দাম মুছে ফেলা হয়েছে। সেটি এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছে তারা।