শিরোনাম
রাজনীতির মাঠে দীর্ঘদিন ধরে তেমন নড়চড় নেই ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল কংগ্রেসের। দলটির অন্দরে শুধু সংশয় আর প্রশ্ন- সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কে, কার নেতৃত্বে চলছে কংগ্রেস? একের পর এক নেতা কেন দল ছাড়ছেন? প্রশ্ন অনেক, কিন্তু উত্তর দেওয়ার লোক নেই। উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দলের ভেতরটা এখন যেন পুরোই ঘোলাটে।
আর এই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এরই মধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আসামের সাবেক সংসদ সদস্য ও সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সুস্মিতা দেব। গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেরিও সদলবলে ঘাঁটি গেড়েছেন তৃণমূলে। মেঘালয়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাও নাকি এখন তৃণমূলমুখী।
ত্রিপুরায় কংগ্রেসের বহু নিম্নসারির নেতা নাম লিখিয়েছেন মমতার দলে। আর পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ধারা শুরু হয়েছে তো আরও আগে। একের পর এক নেতা সঙ্গ ছাড়ায় দলটি ধাক্কা খেয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে কংগ্রেসের জন্য আরও বড় ধাক্কা হয়তো অপেক্ষা করছে সামনে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুসারে, মমতা ব্যানার্জী ছোট মাছ ছেড়ে এবার বড় মাছের দিকে নজর দিয়েছেন। এরই মধ্যে কংগ্রেসের অত্যন্ত প্রভাবশালী কিন্তু বিক্ষুব্ধ ২৩ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে তার দল তৃণমূল। বলা হচ্ছে, কংগ্রেসের এই শীর্ষ ২৩ নেতা মূলত গান্ধী পরিবারের প্রতি ক্ষুব্ধ। দলের প্রতি আনুগত্য থাকলেও শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি তাদের বিশ্বাসে চিড় ধরেছে।
বিক্ষুব্ধদের এ তালিকায় কপিল সিব্বল, শশী থারুর, মনীশ তিওয়ারি, গুলাম নবী আজাদ, বীরাপ্পা মইলির মতো প্রভাবশালী নেতাদের নাম রয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, এই ২৩ নেতার মধ্যে অন্তত দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তৃণমূলের।
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দলটির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ইউপিএ শাসনামলে মন্ত্রী ছিলেন, এমন অন্তত দুজন কংগ্রেস নেতার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছে। দুজনেই মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে, তারা তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। আলোচনা চলছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সূত্র: দ্য প্রিন্ট, সংবাদ প্রতিদিন