শিরোনাম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এই খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আগামী ১৫ মাসে এটি বিশ্বব্যাপী বাস্তবায়ন হবে।
শুক্রবার (২০ মে) বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটন কার্যালয়ে থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। তবে সংস্থাটির বোর্ড মিটিংয়ে এটি গত ১৮ মে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হয়।
কৃষি, পুষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা, পানি এবং সেচের মতো খাতে পুরাতন এবং নতুন প্রকল্পগুলোতে এই ৩০ বিলিয়ন ব্যয় হবে। ফলে চলমান খাদ্য নিরাপত্তা সংকটের জন্য এটি সহায়ক হবে। এই অর্থায়ন খাদ্য ও সার উৎপাদনকে উৎসাহিত করবে। খাদ্য ব্যবস্থা উন্নত করা, বৃহত্তর বাণিজ্য সহজ করা এবং দরিদ্র পরিবার ও উৎপাদকদের সহায়তা করা হবে এই মেগা অর্থায়নের মাধ্যমে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বিবৃতিতে বলেন, খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে দরিদ্র এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের উপর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নিত্যপণ্যের বাজারগুলোকে স্থিতিশীল করা জরুরি। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে এখন ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ভবিষ্যতের খাদ্য সংকট ভয়াবহ হবে। এজন্য খাদ্য উৎপাদক দেশগুলোতে জ্বালানি ও সারের সরবরাহ বাড়াতে হবে, কৃষকদের চারা রোপণ এবং ফসলের ফলন বাড়াতে সাহায্য করতে হবে। এছাড়া বৈশ্বিক রপ্তানি ও আমদানি বাধাগ্রস্ত করে, খাদ্য, জৈব জ্বালানির পক্ষে নয়, এমন নীতি অপসারণ করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার।
বিশ্বব্যাংক খাদ্য নিরাপত্তা সংকট মোকাবিলায় আগামী ১৫ মাসের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলারের নতুন প্রকল্পের প্রস্তুতি নিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে। এই প্রকল্পগুলো কৃষিকে সমর্থন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া উচ্চ খাদ্যমূল্যের প্রভাব কমাতে সামাজিক সুরক্ষা এবং পানি ও সেচ প্রকল্পগুলোতে সহায়তা করবে। আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় বেশি উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এছাড়া বিশ্বব্যাংক আরও ১৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে। যা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্রসহ কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদ, পুষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা এবং অন্যান্য খাতকে কাভার করে। সব মিলিয়ে আগামী ১৫ মাসে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় ৩০ বিলিয়নের বেশি ব্যয় হবে।