শিরোনাম
কলকাতার বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রী পল্লবী দের মৃত্যুর রহস্যের জট এখনো খুলেনি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আত্মহত্যারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়।
সূত্রের খবর, গতকাল পল্লবীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসে। তাতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মেলে। পশ্চিমবঙ্গের কাঁটাপুকুর মর্গে ময়নাতদন্ত হয় অভিনেত্রীর।
এর আগে রোববার (১৫ মে) কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির গড়ফারের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পল্লবীর মরদেহ। তখন তার গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর।
ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, অভিনেত্রী পল্লবী দে গড়ফার ওই ফ্ল্যাটে তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে থাকতেন। তিনিই পল্লবীর মৃত্যুর খবর পুলিশকে দেন।
এদিকে অভিনেত্রীর পরিবার দাবি করছে, পল্লবীকে হত্যা করা হয়েছে। হাওড়ার রামরাজাতলার মেয়ে পল্লবী।
তার বাবা বলেন, ঘটনার আগের দিন শনিবার নাকি ফোন করে মায়ের কাছে ডালনার রেসিপি জানতে চেয়েছিলেন পল্লবী।
তারপরই বাবা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কেউ যদি আত্মহত্যা করার কথা ভাবে, তার আগে কী নতুন কোনো রান্না শিখতে চায়? সঙ্গে অভিনেত্রীর বাবা যোগ করেন, পল্লবী আত্মহত্যা করার মতো মানুষ নন।
এদিকে এ ঘটনায় অভিনেত্রীর প্রেমিককে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জেরায় তিনি জানান, শনিবার রাতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। রোববারও পল্লবীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর কিছুক্ষণের জন্য বাইরে সিগারেট খেতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তিনি পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
পল্লবী দে ‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকে লুৎফার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই চরিত্রের জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ‘রেশম ঝাঁপি’ নামে ধারাবাহিকেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। বর্তমানে ‘মন মানে না’ নামে একটি ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিলেন অভিনেত্রী।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস