শিরোনাম
খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় ইরানে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে।
শনিবারও ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে খাদ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিক্ষোভের সময় একজন নিহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
গত সপ্তাহে আমদানি করা গমের জন্য রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি কমানোর ফলে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। এই ভর্তুকি কমানোর কারণে ময়দার তৈরি বিভিন্ন ধরণের খাদ্যের দাম তিন গুন বা ৩০০% বেড়ে যায়। এছাড়া রান্নার তেল এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো মৌলিক পণ্যের দামও বাড়িয়েছে ইব্রাহিম রাইসির সরকার।
ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর রাশত, কেন্দ্রীয় শহর ফারসান এবং উত্তর-পূর্বের শহর নেইশাবুরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়েছেন, ‘রাইসি, একটু লজ্জা কর, দেশটাও ছেড়ে দাও!’
তেল উৎপাদনকারী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খুজেস্তানের শহর ডেজফুলে সমাবেশের সময় একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলেছে, ডেজফুলে আনুমানিক ৩০০ জন বিক্ষোভকারীকে নিরাপত্তা বাহিনী ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে এবং ১৫ জনকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খাদ্যের দাম বাড়া নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিলে গত সপ্তাহে প্রায়ই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে বিক্ষোভকারীরা সমাবেশের আয়োজন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রচার করতে না পারে।
ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী গমের দাম দ্রুত বেড়ে যায়। এতে ইরানেও ভর্তুকি খরচ বেড়ে গেছে।
তবে, ইরানি কর্মকর্তারা প্রতিবেশী ইরাক ও আফগানিস্তানে ইরানের সরকারি ভর্তুকি পাওয়া ময়দা পাচারকেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন।
সূত্র: দেশ রূপান্তর