শিরোনাম
শ্রীলঙ্কায় চলমান সরকারবিরোধী সহিংস বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ঘোষণা করা কারফিউ বুধবার পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার এই কারফিউয়ের ঘোষণা দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দ্বীপদেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জননিরাপত্তা অর্ডিন্যান্সের ১৬ ধারা মেনে যে কারফিউ দেওয়া হয়েছে তা আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তুলে নেওয়ার কথা ছিল। পরে তা বাড়িয়ে আগামীকাল বুধবার সকাল ৭টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কারফিউ চলাকালে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। তবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বের হওয়া যাবে।
শ্রীলঙ্কার পর্যটন বিভাগ বলেছে, বেড়াতে আসা বিদেশিদের ট্রাভেল ডকুমেন্টকে তাদের কারফিউ পাস হিসেবে গণ্য করা হবে।
চলাচলের সময় তাদেরকে পাসপোর্ট বা উড়োজাহাজের টিকেট দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, বিদেশিদের তাদের হোটেলের আশে-পাশে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থক ও সরকারবিরোধীদের সংঘর্ষের মধ্যে এক সংসদ সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৯০ জনের বেশি। পদত্যাগ করেছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। সোমবার দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ-সহিংসতার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
অব্যাহত অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির সাধারণ মানুষ এক মাসের বেশি সময় ধরে কলম্বোসহ দেশটির বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ করছেন। রাজাপক্ষে পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোসহ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কলম্বোতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে গত ৯ এপ্রিল থেকে অবস্থান করছেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার সকালে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কয়েকটি বাসে করে প্রধানমন্ত্রীর হাজারো সমর্থক তার সরকারি বাসভবনের কাছে জড়ো হন। তখন মাহিন্দা রাজাপক্ষে প্রায় তিন হাজার সমর্থকের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি তাদের ‘জাতির স্বার্থ রক্ষার’ প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর সমর্থকেরা সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালান ও তাদের তাঁবু ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় সরকারবিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে আগুন ধরিয়ে দেন তারা।
সংঘর্ষ থামাতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে রাজধানী কলম্বোতে কারফিউ জারি করা হয়। পরে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়।
সূত্র: দেশ রূপান্তর