শিরোনাম
প্রেসিডেন্টের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমাকে অপসারণ করলো প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ফেডারেল সরকার। সোমবার (৯ মে) মধ্যরাতে ফেডারেল সরকারের তরফে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পাঞ্জাব গভর্নরকে অপসারণের জন্য গত ১৭ এপ্রিল দেশটির প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। সে পরামর্শ মোতাবেক ১ মে থেকে সেটি কার্যকর হয়েছে এবং ওমর সরফরাজ চিমাকে অফিসিয়াল দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হলো।
এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি প্রধানমন্ত্রী শরিফের পাঞ্জাব গভর্নরকে অপসারণের পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেন। অথচ ক্ষমতাসীন পিএমএল-এন নেতারা ধরেই নিয়েছিলেন যে একদিন বা দুইদিনের ব্যবধানে খালি হতে যাচ্ছে পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নরের পদটি। প্রেসিডেন্ট আলভি সংবিধানের ১০১ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে পরে জানা গেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, পিএমএল-এনের পরামর্শ হচ্ছে সম্মানের সঙ্গে চিমাকে বাড়ি যাওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট আলভি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত যেন না হন যা আগামী দিনে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। তিনি এটাও বলেন যে ‘প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ বাস্তবায়ন করতে প্রেসিডেন্ট বাধ্য’ এবং যেকোনো বিচ্যুতি সংবিধান লঙ্ঘনের সমতুল্য হবে। সানাউল্লাহ আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট আলভি ও চিমাকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে চলা উচিত।
এদিকে, অপসারণের বিষয়টি নিয়ে টুইট বার্তায় শাহবাজ ফেডারেল সরকারকে ‘সিসিলিয়ান মাফিয়া’ বলে উল্লেখ করেছেন ওমর সরফরাজ চিমা। এ ছাড়া সোমবার (৯ মে) প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল টুইটারে বলা হয় ‘প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তার অনুমোদন ছাড়া পাঞ্জাবের গভর্নরকে অপসারণ করা যাবে না।’
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন পিএমএল-এনের নেতা হামজা শাহবাজ। তিনি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে। গত ১৬ এপ্রিল পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পার্লামেন্টের অধিবেশনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করে অধিবেশনে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এসময় ডেপুটি স্পিকার সরদার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারি হামলার শিকার হন। এ ঘটনার জেরে পাঞ্জাবের গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমা স্থগিত রাখেন মুখ্যমন্ত্রী পদে জয়ী হওয়া হামজা শাহবাজের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ধারণা করা হচ্ছে সেকারণেই চটেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আগে পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর চৌধুরী সারওয়ারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে চৌধুরী মুহাম্মদ সারওয়ারের কাছে উসমান বুজদার তার পদত্যাগপত্র দাখিল করেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদটি খালি হয়।
সূত্র: জিও নিউজ, ডন