শিরোনাম
ভারতের দাঙ্গা উপদ্রুত জাহাঙ্গীরপুরীর পর রাজধানী দিল্লির শাহিনবাগে আবার বুলডোজার নামানো হলো। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ও দুই রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের সমর্থকদের প্রতিরোধে ‘বেআইনি উচ্ছেদ’ অভিযান স্থগিত রাখল বিজেপিশাসিত দক্ষিণ দিল্লি পৌরসভা।
উচ্ছেদ রুখতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল সিপিএম বা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)। কিন্তু রাজনৈতিক দলের আবেদনে সাড়া দিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হননি সুপ্রিম কোর্ট।
আবেদনকারীদের বলা হয়, এভাবে হুট করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া অনুচিত। প্রতিকারের জন্য তাঁরা হাইকোর্টে যেতে পারেন।
দুই বছর আগে এই শাহিনবাগেই শুরু হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকার (এনআরসি) বিরুদ্ধে আন্দোলন। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনতা পথ অবরোধ করেছিলেন। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই আন্দোলনের কথা। করোনার সময় আন্দোলন প্রত্যাহৃত হয়। সেই শাহিনবাগে ‘বেআইনি উচ্ছেদ’ অভিযান চালানোর জন্য পৌরসভা তোড়জোর শুরু করে। কিন্তু পর্যাপ্ত পুলিশ না পাওয়ায় গত সপ্তাহে অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছিল।
গতকাল অভিযান শুরু করতে বুলডোজার আনা হলেও পৌরসভা কর্মীদের পড়তে হয় প্রবল বাধার মধ্যে। স্থানীয় লোকজন তো বটেই, এসে যান আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমানুল্লা খান এবং স্থানীয় কংগ্রেস নেতা–কর্মীরাও। পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে তাঁরা বলেন, তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সব অবৈধ উচ্ছেদ ও দখল সরিয়ে দিয়েছেন। সরকারি এলাকায় কোনো দখলদার নেই। নেই অবৈধ স্থাপনাও।
পুলিশের অভাবে গত সপ্তাহের অভিযান স্থগিত রাখার পর গত শনিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিপিএমের দিল্লি শাখা ও হকার্স ইউনিয়ন। সোমবার এই বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের আবেদন শুনতে রাজি হননি সর্বোচ্চ আদালত। জাহাঙ্গীরপুরীর উচ্ছেদ নিয়ে মামলাটি এখনো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে উচ্ছেদ নিয়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও অন্যত্র কোনো স্থগিতাদেশ নেই। পৌরসভার পক্ষে সলিসিটর জেনারেল অবশ্য আদালতে বলেন, যা করতে চাওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। জনতা নিজেরাই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে।