শিরোনাম
রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত নিজেদের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
পর্যায়ক্রমে রুশ তেল আমদানি নিষিদ্ধ করতে চলেছে তারা। তবে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধের বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি ২৭ দেশের এই জোট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে দেশটি থেকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে অপরিশোধিত তেল এবং ২০২২ সাল শেষ নাগাদ পরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।
এ প্রস্তাব যদি পাস হয়, তবে সেটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোটের জন্য একটি চরম মুহূর্ত। কারণ ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই রুশ জ্বালানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ফলে আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ার আগেই জ্বালানির বিকল্প উৎস নিশ্চিত করতে হবে তাদের।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তার নৃশংস আগ্রাসনের জন্য মূল্য দিতে হবে, চড়া মূল্য।
এদিন রাশিয়ার বৃহত্তম ব্যাংক এসবারব্যাংকসহ আরও দুই ঋণদাতা, তিনটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবং সেনা কর্মকর্তা ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের নিশানা করেও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ইউরোপের রুশ তেল আমদানি বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ববাজারে। এরই মধ্যে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম তিন শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ১০৮ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স