শিরোনাম
আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফে আলাদা দুটি মিনিবাসে থাকা বোমা বিস্ফোরণে অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) এ হামলার ঘটনা ঘটে। শহরটিতে একটি শিয়া মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের এক সপ্তাহ পর এ ফের ঘটনা ঘটলো।
গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে জনসমাগমস্থলে হামলা বেড়ে গেছে। রমজান মাসেও ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর লোকদের ওপর পর পর এ ধরনের হামলা ঘটনা ঘটছে।
আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন সম্প্রতি হামলার ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের খোরাসান শাখা (আইএসকেপি)।
আইএস মাজার-ই শরিফে হামলার দায় স্বীকার করলেও কুন্দুজে হামলা বা কাবুলের স্কুলে হামলার দায় স্বীকার করেনি। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফে একটি শিয়া মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। পরে হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। একইদিনে কুন্দুজে আরেকটি হামলায় নিহত হন ৪ জন এবং আহত হন ১৮ জন। কুন্দুজের পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, দুই হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখছে তারা।
এসব হামলার ঘটনায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তালেবান সরকার। আফগানিস্তানের তালেবান সরকার জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের খোরাসান শাখাকে (আইএস-কে) পরাজিত করেছে বলে দাবি করলেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আইএস তালেবানের মতো একটি সুন্নি দল কিন্তু দুটি গোষ্ঠীই তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। উভয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় আদর্শগত পার্থক্য হলো তালেবানরা শুধু বিদেশি বাহিনী মুক্ত আফগানিস্তান চেয়েছিল, যেখানে আইএস একটি ইসলামী খেলাফত চায়।
সূত্র: ডন