শিরোনাম
মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লুর এইচ৩এন৮ প্রজাতির প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়লো চীনে। আক্রান্ত হয়েছে চার বছরের এক শিশু। যদিও চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম। তবে এ বিষয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না দেশটির প্রশাসন।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, মধ্য হেনান প্রদেশে চার বছরের একটি শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায়, শিশুটি অ্যাভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত। জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, ওই শিশুর বাড়িতে মুরগি ও হাঁসের খামার রয়েছে। সেখান থেকেই সরাসরি সংক্রমণ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ফ্লুর এই প্রজাতির দ্রুত সংক্রমণের দৃষ্টান্ত নেই বলেই দাবি করেছে কমিশনটি।
স্বাস্থ্য কমিশনের পরামর্শ, মৃত ও অসুস্থ পাখির কাছে যেন নাগরিকরা না যান। যদি কোনো রকম উপসর্গ ধরা পড়ে তা হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে। বার্ড ফ্লু সাধারণত পাখি ও হাঁস বা মুরগির হয়। মানবদেহে এই ফ্লুর সংক্রমণের ঘটনা খুবই বিরল।
২০০২ সালে উত্তর আমেরিকায় এই প্রজাতির সংক্রমণ ধরা পড়ে বুনো হাঁসের। ঘোড়া, কুকুর ও মাছের মধ্যেও এই ভাইরাস পাওয়া যায়। ১৯৯৭ ও ২০১৩ সালে বার্ড ফ্লুর দু’টি প্রজাতি এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯ সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।
সূত্র: এএফপি
গ্যাস বন্ধ করে পশ্চিমা মিত্রদের বিভক্ত করতে চায় রাশিয়া: পোল্যান্ড
পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে রাশিয়া। রুবলে মূ্ল্য পরিশোধ না করা হলে আগামীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ের অন্য দেশগুলোর একই পরিণতি হবে বলেও হুমকি এসেছে। গ্যাস বন্ধের পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে রাশিয়া পশ্চিমা মিত্রদের বিভক্ত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন পোল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সিন প্রজিডাক্স।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন মন্তব্য করেন পোল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত মাসেই গ্যাসের মূল্য রুবলে পরিশোধ করা নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত রাশিয়ার জ্বালানি সংস্থা গাজপ্রম জানায়, তারা পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। কারণ, এ দেশ দুটি রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে অর্থ প্রদান করতে অস্বীকার করেছে।
গাজপ্রমের ওই বিবৃতির পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রেতা ইইউর অন্য দেশগুলোকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, রুবলে গ্যাসের দাম পরিশোধে অস্বীকৃতি জানালে ইউরোপের অন্য সব দেশেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, ইউরোপে রাশিয়ায় জ্বালানি তেলের যুগ শেষ হতে যাচ্ছে। মস্কোর এমন পদক্ষেপে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে, জ্বালানি সরবরাহকারি হিসেবে রাশিয়া নির্ভরযোগ্য নয়।
এদিকে স্থানীয় সময় আজ বুধবার এক ভাষণে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমারা রাশিয়ার অর্থনীতি ধ্বংসে যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেগুলো কোনো কাজে আসেনি। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপের কড়া ও দ্রুত জবাব দেওয়া হবে।