শিরোনাম
পাকিস্তানে বিদ্যুতের ঘাটতিতে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে বর্তমানে বিদ্যুতের মোট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াটে।
ফলে দেশব্যাপী দিনে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা রেহানা জাদুন অঘোষিত লোডশেডিংয়ের নিন্দা করেছেন। গুজরানওয়ালার বাসিন্দা জুবায়ের আহমেদ বলেন, পবিত্র রমজান মাসে এ ধরনের লোডশেডিং কল্পনাও করা যায় না।
তিনি বলেন, আমি পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুই বোঝতে পারছি না। ১৫ দিন আগেও বিদ্যুৎ ও ডিজেলের কোনো ঘাটতি ছিল না।
পাকিস্তানের জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহর এলাকায় দিনে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রামের দিকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটছে। ফলে দেশজুড়ে অন্ধকার নেমে এসেছে।
জানা গেছে, দেশটিতে বর্তমানে মোট ১৮ হাজার ৩১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। কিন্তু চাহিদা রয়েছে ২৫ হাজার পাঁচশ মেগাওয়াটের। তীব্র জ্বালানি সংকট ও কারিগরি কারণে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।
পাকিস্তানে জলবিদ্যুৎ থেকে তিন হাজার ৬৭৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। যেখানে সরকারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদন করছে মাত্র ৭৮৬ মেগাওয়াট। তাছাড়া বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় নয় হাজার ৫২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
অন্যদিকে দেশটির বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ৪৮৭ মেগাওয়াট, সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ১০৪ মেগাওয়াট, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট ১৪১ মেগাওয়াট ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো তিন হাজার ৩১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
সূত্র: জিও নিউজ