শিরোনাম
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দলের নেতা কেমাল কিলিকদরোগলুর বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত দুই মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি তিনি।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুৎ বিল প্রদানে অস্বীকৃতি জানান কিলিকদারোগলু।
টুইটারে প্রকাশিত এক ভিডিওতে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সব ধরনের জ্বালানির সুবিধা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। দামবৃদ্ধির কারণে যেসব নাগরিক জ্বালানির পয়সা জোগাড় করতে পারছেন না আমি তাদের হয়ে কথা বলছি৷
বিরোধী দলের এই নেতার দাবি, সারা দেশে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সরকার।
গত বছরের শেষের দিকে তুরস্কের অর্থনীতিতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। এর প্রভাবে দেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ, বাসভাড়া, জ্বালানিসহ নানা ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দেশের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে লিরার পতন এবং মূল্যস্ফীতির ফলে তুরস্কের সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।