শিরোনাম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে মারিউপোল ‘স্বাধীন’ বলে রাশিয়া যে দাবি করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এখনো লড়াই চলছে। এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি এমন দাবি করেন।
সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু নিশ্চিত করেন যে ইউক্রেনের ডনবাসের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী মারিউপোলের পূর্ণ দখল এখন তাদের। মারিউপোল দখলের খবরে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন পুতিন। তিনি বলেন, মারিউপোল শহরটি ইউক্রেনীয় সেনাদের হাত থেকে ‘স্বাধীন’ করা হয়েছে। ওই অঞ্চলের বৃহত্তম আজোভস্তাল স্টিল প্লান্টেরও দখল নিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা শিগগির বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নিতে মানবিক করিডোর চালুর আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সেখানে তীব্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নেই জরুরি ওষুধও।
মারিউপোল শহর দখল রাশিয়ার জন্য অন্যতম কৌশলগত বিজয়। পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করতে এটি সহায়তা করবে।
এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু জানান, প্রায় দুই হাজার ইউক্রেনীয় সেনা এখনো আজোভস্তাল স্টিল প্লান্টের ভেতরে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যেই ওই শহর থেকে এক লাখ ৪২ হাজার বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। দুই পক্ষের লড়াইয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটার পাশপাশি ইউক্রেন ছেড়েছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।
এদিকে, চলমান যুদ্ধের মাঝে মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে যুদ্ধ বন্ধের দৃশ্যমান পরিস্থিতি এখন নেই বললেই চলে। এর আগে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। বিভিন্ন দেশে বিরুপ প্রভাব ফেলছে দেশ দুটির চলমান যুদ্ধ। বিশেষ করে বেড়ে গেছে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম।
সূত্র: আল-জাজিরা