শিরোনাম
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন পাঁচ নারী। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে চলছে নানা আলোচনা। অনেকেই এটিকে পাকিস্তানে নারী ক্ষমতায়নের পথে বড় মাইলফলক বলে দাবি করছেন। তবে এ ধরনের কথাবার্তায় বেশ বিরক্ত ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা।
সমালোচকদের মতে, ইমরানের শাসনামলে নারী অধিকারকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এর ছাপ ছিল তার মন্ত্রিসভায়ও। কিন্তু, বাস্তবতা হলো, পিটিআই সরকারের আমলেও পাকিস্তানে পাঁচজন নারী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
ইমরানের মন্ত্রিসভায় মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন শিরীন মাজারি। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সমালোচকদের একহাত নিয়ে টুইটারে তিনি বলেন, আপনাদের স্মৃতিভ্রম হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রিসভায়ও পাঁচ নারী ছিলেন, যাদের তিনজন সরাসরি নির্বাচিত হয়েছিলেন- বেলুচিস্তান থেকে জুবাইদা, সিন্ধু থেকে ফাহমিদা, ডিজি খান থেকে জারতাজ। এছাড়া সিনেটর সানিয়া ও আমি ছিলাম সংরক্ষিত আসন থেকে! তাহলে এখন হঠাৎ মাতামাতি কেন?
এদিন শিরীন ক্ষোভ ঝেড়েছেন মূলত নিঘাত দাদ নামে এক পাকিস্তানি আইনজীবী ও অনলাইন অধিকারকর্মীর ওপর। নিঘাত এক টুইটে বলেছিলেন, (শাহবাজের) মন্ত্রিসভায় পাঁচ বুদ্ধিমতি নারীকে দেখার পর পাকিস্তানের অনেক পুরুষ নারীর ক্ষমতায়ন কেমন হওয়া উচিত তার খামখেয়ালি ব্যাখ্যা করছে, আবার যারা মন্ত্রিসভায় এসেছেন তাদের উপহাসও করছে। তারা জানে না, এই তুচ্ছ মন্তব্যের চেয়ে তাদের (নারী মন্ত্রী) মর্যাদা অনেক বড়।
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নিজের মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন। নানা টালবাহানার পরে গত বুধবার (২০ এপ্রিল) শপথ নিয়েছেন দেশটির নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
শাহবাজের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন পাঁচ নারী। অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিনা রব্বানি খার হয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত শেরি রহমান, পিএমএল-এন নেত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব হয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। এছাড়া পিপিপি নেত্রী সাজিয়া মারিকে বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম (বিআইএসপি) মন্ত্রণালয় ও পিএমএল-এনের আয়েশা গাউস পাশাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগের মন্ত্রিসভা, অর্থাৎ ইমরান খানের সরকারেও পাঁচ নারী ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ পদে। সেসময় জুবাইদা জালাল প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রী, ফাহমিদা মির্জা আন্তঃপ্রাদেশিক সমন্বয় মন্ত্রী, শিরীন মাজারি মানবাধিকার মন্ত্রী ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন জারতাজ গুল। এছাড়া সিনেটর সানিয়া নিশতার ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী, যার পদমর্যাদা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমান।