শিরোনাম
ঋণে সাগরে তলিয়ে যাওয়া অচল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকার অর্থনৈতিক চাকা সচলে হাত বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
সম্প্রতি সংস্থাটির ইতিবাচক সাড়ার কথা জানিয়ে টুইট করেছে শ্রীলংকার অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রী আলি সাবরির নেতৃত্বে ওয়াশিংটনে আইএমএফের সদর দপ্তরে পৌঁছেছে শ্রীলংকার প্রতিনিধি দল। শ্রীলংকার মধ্যাঞ্চলে বুধবার কারফিউ জারি করেছে পুলিশ।
এর একদিন আগে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকালে পুলিশের হামলায় একজন বিক্ষোভকারী নিহত হলে আন্তর্জাতিকভাবে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সরকার তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রয়টার্স।
শ্রীলংকার ভঙ্গুর অর্থনীতির চাপে দিশেহারা নাগরিকরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধার করতে আগেই আর্থিক সাহায্য চেয়ে আইএমএফের শরণাপন্ন হয়েছিল প্রশাসন। প্রথমে জুতসই সাড়া না পেলেও এবার তাদের পাশে দাঁড়ানো চিন্তাভাবনা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। টুইটবার্তায় দ্বীপদেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খাবার, জ্বালানি এবং ওষুধের আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়ার আশায় সোমবার থেকে আইএমএফ কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন তারা। সাবরির সহযোগী শমির জাভাহির টুইটে লিখেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সরবরাহ ব্যবস্থার হাল ফেরাতে র্যাপিড ফিন্যান্সিং ইনস্ট্রমেন্ট বা আরএফআই পদ্ধতিকে কাজে লাগানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ভারতও শ্রীলংকাকে এ অর্থ পাইয়ে দিতে সুপারিশ করেছে এবং হয়তো আইএমএফ বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবে।’
এদিকে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্য শ্রীলংকার রামবুক্কানা। এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে ৪২ বছর বয়সি এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ঘটনার পর আরও উত্তেজনা ঠেকাতে ওই অঞ্চলে বুধবার কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। দেশটিতে দফায় দফায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারী প্রধান হাইওয়ে এবং রেললাইন অবরোধ করেছে।
ভাসানথা কুমারা নামে এক স্থানীয় শেফ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমার হাতে ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমাকে যেন না মারা হয় এজন্য আমি পুলিশের কাছে ভিক্ষা চাই, কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। আমরা সবাই গরিব। আমরা আমাদের মৌলিক চাহিদা খাদ্যের জন্য লড়াই করছি।’ শ্রীলংকায় বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। বুধবার পুলিশকে এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।