শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধুকধারীদের হামলা অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে ইস্টারের সপ্তাহে তিনবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি পিটসবার্গে একটি পার্টিতে হামলা চালানো হয়। এতে দুইজন কিশোর প্রাণ হারিয়েছে। তাছাড়া সাউথ ক্যারোলাইনার একটি নাইট ক্লাবেও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে, যদিও সেখানে কারোর মৃত্যু হয়নি। সপ্তাহের শুরুতে এই দুই ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৩১ জন।
পিটসবার্গে একাধিক ব্যক্তি মিলে গুলি চালিয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয় পুলিশ। ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০০ জন। তার মধ্যে অধিকাংশই ছিল কিশোর-কিশোরী।
পিটসবার্গের পুলিশ প্রধান স্কট শুবার্ট বলেন, ওই পার্টি হচ্ছিল একটি বাড়ি ভাড়া করে। বাড়িটি ঘিরে রেখে প্রায় আটটি জায়গা থেকে গুলি চালানো হয়।
অন্যদিকে সাউথ ক্যারোলাইনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার ভোররাতে নাইট ক্লাবে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু না হলেও সেখানে আহত হয়েছেন নয়জন। পুলিশ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
তাছাড়া শনিবারেও সাউথ ক্যারোলাইনার একটি শপিং মলে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। হামলার পরে পুলিশ প্রধান হলব্রুক জানান, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলেই আমরা মনে করি। এই দুই ঘটনার মধ্যে নিশ্চয় কোনো যোগাযোগ রয়েছে। সাউথ ক্যারোলাইনাতে ২১ বছর হলেই নাগরিকরা নিজের কাছে বন্দুক রাখতে পারেন ও প্রয়োজন পড়লে তা ব্যবহারও করতে পারেন।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন মেট্রো স্টেশনে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় এক আততায়ী। ২৩ জন আহত হন সেই ঘটনায়। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয় ঘটনাস্থল থেকে। এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করলেও তাকে ধরতে পারেনি মার্কিন পুলিশ। তাই পরপর এমন নৃশংস হামলায় প্রশ্নের মুখে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা।