শিরোনাম
আর্কটিক অঞ্চলে ন্যাটো বাহিনীর ক্রমবর্ধমান তৎপরতা এবং ওই অঞ্চলে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার’ ঝুঁকি নিয়ে ‘উদ্বেগ’ জানিয়েছে রাশিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা রোববার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ নিকোলাই কোরচুনভের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কোরচুনভ জানান, আর্কটিকে ন্যাটোর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড উদ্বেগের বিষয়। সম্প্রতি নরওয়ের উত্তরাঞ্চলে জোটের আরেকটি বড় আকারের সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের দৃষ্টিতে ওই ঘটনা এই অঞ্চলের নিরাপত্তায় কোনো অবদানই রাখে না।
কোরচুনভের মতে এই ধরনের কার্মকাণ্ড ‘অনাকাঙ্খিত ঘটনার’ ঝুঁকি বাড়ায়। এই ঘটনা নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়াও আর্কটিকের ইকোসিস্টেমের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, রুশ বাহিনী কিয়েভ ও এর আশপাশের বেশ কয়েকটি শহরে তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে। শনিবার যুদ্ধের ৫২তম দিন নতুন করে তাদের আক্রমণাত্মক হামলার পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে।
কৃষ্ণসাগরের যুদ্ধজাহাজ হারানোর কারণে এবং রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের ‘আগ্রাসনের’ কারণে ক্ষুব্ধ রাশিয়ার সামরিক কমান্ড ইউক্রেনের রাজধানীতে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে।
মস্কোর কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা শুধু ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা করছে।
প্রকৃত অবস্থা যদিও ভিন্ন। প্রতিদিন হামলায় অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক মারা যাচ্ছে। শনিবারও উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের শহর খারকিভের একটি আবাসিক এলাকায় রকেট হামলায় এক শিশুসহ কমপক্ষে ৯ জন মারা গেছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কিয়েভের ঠিক পাশের শহর ও গ্রাম থেকে রুশ সেনা পিছু হটার পর ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ ৯০০টিরও বেশি বেসামরিক মানুষের লাশ খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।