শিরোনাম
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুই আসনে উপনির্বাচনে আরও নিজেদের অপ্রতিরোধ্য প্রমাণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই দু’টির মধ্যে আসানসোল আসনে লোকসভায় এটাই তাদের প্রথম জয়। এখানে তাদের জয়ের ব্যবধান প্রমাণ করে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের তুলনায় প্রাপ্ত ভোট দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়েছে তৃণমূল।
বালিগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। ১৯ হাজার ৯০৪ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে আসানসোলে দুই লাখ ৯০ হাজার ভোটে জয় পেয়েছেন তৃণমূলের অপর প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা।
বালিগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপি যা ভোট পেয়েছে, তাতে তাদের জামানত থাকার কথা নয়। কংগ্রেসের অবস্থাও দুই আসনে সঙ্গিন।
তবে বালিগঞ্জে ৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। যা রাজনৈতিক মহলের নজরে অর্থবহ। যদিও তৃণমূলের অবস্থান তাতে অপরিবর্তিতই থাকছে।
এবার কি তবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়বে তৃণমূল? ফল প্রকাশের পরে এই প্রশ্নে মমতা ব্যণার্জি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘আপনারাই বুঝে নিন।’
মমতা আরও বলেন, ‘আবার প্রমাণ হল, শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা- তৃণমূল কংগ্রেসই বাংলার ভরসা। ভারতেরও ভরসা। এই ভালবাসা, আশীর্বাদ আমাদের আরও ভাল কাজে অনুপ্রাণিত করবে।’
ফল জানার পরে মমতা এদিন কালীঘাটে গিয়ে পুজোও দেন। এই জয়কে তিনি নববর্ষে জনগণের দেওয়া উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এই জোড়া জয়কে ‘বিদ্বেষ ও দমনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘এই আশীর্বাদ ও ভালবাসার পাওয়ার পরে সুশাসনই আমাদের অগ্রাধিকার।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাজ্যে গত বছর ২ মে'র পর থেকে যেভাবে সন্ত্রাস হয়েছে, তাতে উপনির্বাচনের এই ফল প্রত্যাশিতই ছিল।’তার মতে, সাধারণত উপনির্বাচনে শাসক দলই জেতে।