শিরোনাম
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরই বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উন্নত দেশগুলো অস্ত্রের আমদানি ও উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে। জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা উন্নত করতে ২৬০ কোটি ডলার ব্যয় করবে। চীনের ভূমিকার কারণে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সম্প্রতি সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এমন সিদ্ধান্তে অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধ জাহাজ ও প্লেনগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এর আগে দেশটি জানায়, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করা হবে। গত বছর সই হওয়া অকাস চুক্তির আওতায় এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন বলেন, আপনি যখন ইউক্রেনের পরিস্থিতি অথবা ইন্ডো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সম্ভাব্য সংঘাতের দিকে তাকাবেন তখন অনেক কিছুই মাথায় আসবে। এটা বাস্তব ও আমাদের আরও বাস্তববাদী হওয়া প্রয়োজন। শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আগ্রাসন বন্ধেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে ডাটনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিভিন্ন মডেলের যুদ্ধ বিমান ও নৌবাহিনীর ব্যবহারের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন ঘটানো হবে।
ডাটন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নকশা করা এ ক্ষেপণাস্ত্রটি যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে পরিচালনা করা যাবে। এসয় ৯০০ কিলোমিটার দূরের নির্দিষ্ট লক্ষ্য বস্তুতে হামলা করা যাবে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ২০২৪ সালের মধ্যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।