শিরোনাম
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশে ইরপিন-বুচাসহ যেসব শহরে ভয়াবহ লড়াই হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বোরোদিয়াঙ্কার কেন্দ্রে চালানো ধ্বংসযজ্ঞে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।
শহরটির প্রবেশপথের গোলচত্বর থেকে মূল রাস্তা পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিধ্বস্ত ও পুড়ে যাওয়া ভবন, বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপ, দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ির ধ্বংসাবশেষ এবং ধসে পড়া ভবন।
বোরোদিয়াঙ্কা শহরটি বেলারুশের সীমান্ত থেকে খুব বেশি দূরে নয় এবং কিয়েভে প্রবেশে রাশিয়ান সৈন্যদের প্রধান পথ ছিল। শহরটিতে খুব ভারী গোলাগুলি হয়েছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, রাশিয়ান সৈন্যরা ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলো থেকে জীবিতদের উদ্ধার প্রচেষ্টা বন্ধ করে দেয় এবং যারা এটি করতে চেয়েছিল তাদেরকে বন্দুকের মুখে রেখে হুমকি দেওয়া হয়।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ানরা বোরোদিয়াঙ্কায় বুচা থেকেও বেশি নৃশংসতা চালিয়েছে। রুশ সৈন্যরা সরে যাওয়ার পর শহরটির রাস্তায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং আরও কয়েক শ লাশ গণকবর দেওয়া হয়।
যদিও দখলে রাখার সময় বোরোদিয়াঙ্কায় বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে রাশিয়ানরা কী করেছে, তা এখনও স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।
শহরটিতে বোমা হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তুপ এখনও সরানো হয়নি। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু বেসামরিক মানুষের লাশ পড়ে আছে বলে মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তবে এর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।
সূত্র : বিবিসি