কাউকে ক্ষমা করা হবে না: ইমরান খান

ফানাম নিউজ
  ০১ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৩০
আপডেট  : ০১ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৪২

অনাস্থা ভোটের আগে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একই সঙ্গে যারা তার বিরুদ্ধে গেছেন তাদের ক্ষমা না করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

গতকাল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান এসব কথা বলেন।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী রোববার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। পাকিস্তানের সংসদে ৩৪২ আসনের মধ্যে ১৭২ ভোট নিয়ে বিরোধী দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্ব বাতিল হবে।

ইমরান খানের জোটের প্রধান শরিক এমকিউএম গতকাল বুধবার বিরোধী জোটে যোগ দেওয়ার পরই বিরোধী দল সংসদে এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।

কাগজে-কলমে পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ভোট এখন ১৭৫, আর সরকারি দলের ১৬৪।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই তরুণরা আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুক। আমরা ভয় করি। আমরা টাকার পেছনে ঘুরি। আমরা পিঁপড়ার মতো কাজ করি। আমি পাকিস্তানের উত্থান-পতন দেখেছি। আমি যখন স্কুলে পড়তাম, তখন দেশগুলোর কাছে পাকিস্তান ভালো উদাহরণ ছিল। দক্ষিণ কোরিয়াও এসেছে পাকিস্তানে। কিন্তু আমি এটার অবনতিও দেখেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল, যদি আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন না করি, তাহলে তারা আহত ভালুকের মতো আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। ৯/১১-এর সময়, আমরা বলেছিলাম যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটলে আমাদের তাদের সাহায্য করা উচিত। কিন্তু এটি আমাদের লড়াই ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেক পাকিস্তানি প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, কেউ কি আমাদের ধন্যবাদ দিয়েছে? কেউ কি শুকরিয়া বলেছে?

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ইমরান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের নীতি কারও বিরুদ্ধে হবে না। কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ হলেই ভারতের সঙ্গে আমাদের বিরোধ শুরু হয়।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা বলে, আমি দেশকে ধ্বংস করেছি কিন্তু শাসন করেছি মাত্র তিন বছর। আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি যে এই বিগত সাড়ে তিন বছরে আমি যা করেছি, তা কখনো অর্জন করা যায়নি।

এর আগে তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

তারকা ক্রিকেটার ইমরান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁকে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও দিন দিন বাড়তে থাকা ঘাটতির জেরে ইমরানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সমালোচনার মুখে পড়েছে। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীর সঙ্গে টানাপোড়েনের কথাও শোনা যাচ্ছে। এরই মাঝে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।