শিরোনাম
চীনে নতুন করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ফুজিয়ান প্রদেশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যোগসূত্র রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবার মাধ্যমেই সেখানে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। ওই ব্যক্তি গত সপ্তাহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে ফুজিয়ানের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে মাত্র চারদিনে একশর বেশি নতুন রোগী পাওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে ফুজিয়ানের পুতিয়ান শহরে। আর তার উৎস ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সন্দেহভাজন স্কুলপড়ুয়া সেই শিশুর বাবা গত ১০ সেপ্টেম্বর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এর ৩৮ দিন আগে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছিলেন। চীনে ফেরার পর ওই ব্যক্তি ২১ দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন, এর মধ্যে নয়বার নিউক্লিয়িক অ্যাসিড ও সেরোলজিক পরীক্ষা করিয়েছেন, যার সবগুলোর ফলাফলই নেগেটিভ ছিল।
ওই ব্যক্তি বিদেশ থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। ভাইরাসটি এত দীর্ঘ সময় সুপ্ত থাকার ঘটনা (ইনকিউবেশন পিরিয়ড) সচরাচর দেখা যায় না।
তবে এরই মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। পুতিয়ানের সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহর ছেড়ে বেরোতে হলে ভ্রমণকারীদের অবশ্যই আগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া করোনা নেগেটিভ সনদ দেখাতে হচ্ছে। সিনেমা হল, জাদুঘর, লাইব্রেরিগুলোকে ইনডোর কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। রেস্টুরেন্টগুলোর জন্যেও খোলা রাখার সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিধিনিষেধের ছায়া পড়েছে পার্শ্ববর্তী শহর শিয়ানমেন ও কুয়ানঝৌতেও। শিয়ানমেনের সব জিম ও বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শিয়ানমেনে ৩২ জন নতুন করে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই পুতিয়ান-ফেরত।
চীনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সেখানে নতুন শনাক্ত রোগীরা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।