শিরোনাম
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিয়ন্ত্রণে নেই।
সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। খবর বিবিসির।
ওই আইনে বলা হয়েছে, বিদেশে কর্মরত রাশিয়ার কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া খবর ছড়ানোর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার নতুন এ আইনে সই করলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেনে সামরিক হামলা শুরুর পর রাশিয়ায় পাস করা একটি আইনের সঙ্গে নতুন এ আইনের অনেকটাই মিল রয়েছে।
আগে পাস হওয়া আইনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানো লোকদের জেলে পুরে দেওয়া হবে।
ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, রাশিয়ার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার দূতাবাস ও বিদেশে থাকা রুশ প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে দেশটিতে গুজব কিংবা ভুল তথ্যের প্রচার ঠেকাতে এমন একটি আইন জরুরি ছিল। সেই চাহিদা থেকেই রাশিয়ার গণমাধ্যমের ওপর এমন খড়গহস্ত হলেন ভ্লাদিমির পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এরই মধ্যে কয়েকশ মানুষ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে দেশটিতে। ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও থামতে নারাজ পুতিন সরকার।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডার সের্গেই রুস্কয় বুদানভ বলেন, ইউক্রেনে চলমান অভিযানের প্রথম ধাপ শেষ করেছে রুশ সশস্ত্র বাহিনী। তার দাবি, এক মাসের লড়াইয়ে কিয়েভের যুদ্ধ-সক্ষমতা অনেকখানি কমে গেছে।
যুদ্ধের পাশাপাশি নিজ দেশেও নানা সংকটের সম্মুখীন পুতিন সরকার। ইউক্রেন আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে দেশটিতে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। অস্বস্তিতে পড়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।