যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিনাশর্তে এফ-৩৫ ও পেট্রিয়ট চাইল তুরস্ক

ফানাম নিউজ
  ২৫ মার্চ ২০২২, ১৬:৫১

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এবার বিনাশর্তে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পেট্রিয়ট চাইল তুরস্ক।

রাশিয়া থেকে কেনা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ ইউক্রেনকে দেওয়ার পরামর্শ দিলে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ দাবি করে। খবর হুরিয়াত ডেইলির।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা ফাহরেত্তিন আলতুন এ দাবি জানিয়েছেন।   

মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে লেখা একটি প্রবন্ধে আলতুন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ ইউক্রেনকে দেওয়ার পরামর্শ দেয় তুরস্ককে।  এর জবাবেই এরদোগানের যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা ফাহরেত্তিন আলতুন মার্কিন পত্রিকায় পাল্টা দাবি জানিয়ে এ কলাম লেখেন।

মূলত তুরস্কের বিমানবহর পুরোটাই আমেরিকার যুদ্ধবিমান দিয়ে সাজানো। এদের মধ্যে আছে— এফ-৪ ও এফ-১৬।

১৯৭৪ সালে এফ-৪ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে তুরস্ক এবং ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এই বিমানগুলো সরবরাহ করে আমেরিকা। এই লম্বা সময় ধরে কয়েকশ এফ-৪ যুদ্ধবিমান পায় তুরস্ক। এর বেশিরভাগই এখন সার্ভিসে নেই।

বাকিগুলো ২০২০ সালের দিকে সার্ভিস থেকে অবসর নেওয়ার কথা। কিন্তু এগুলোকে বারবার মডার্নাইজেশন করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এদের জীবনকাল দীর্ঘায়িত করতে চায় তুরস্কের সেনাবাহিনী। এমনকি এগুলোকে আরেকটু ঘষেমেজে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করতে চায় দেশটি।

অন্যদিকে তুরস্কের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। তখন আমেরিকার সঙ্গে ১৬০টি বিমান কেনার চুক্তি হয়। এদের আটটি আমেরিকায় এবং ১৫২টি তুরস্কে উৎপাদনের কথা থাকে সে চুক্তিতে।

তুরস্কের এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৮৭ সালে আমেরিকার সঙ্গে একত্রে এ বিমানগুলো উৎপাদন শুরু করে তুরস্কে।  

শুরুর দিকের কাজগুলোকে বিমান তৈরি বলার চেয়ে বরং আমেরিকা থেকে সব যন্ত্রাংশ নিয়ে এসে তুরস্কে সেট করা বলা যায়। পরে আমেরিকা থেকে লাইসেন্স নিয়ে তুরস্কেই উৎপাদন করতে থাকে এ বিমানগুলো।

দেশীয়ভাবে উৎপাদন করে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ২৩২টি ব্লক ৩০/৪০/৫০ মডেলের এফ-১৬ তৈরি করে তারা।

এভাবে তুরস্কের বিমানবহর সজ্জিত হয় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে। তুরস্কের বিমানবাহিনীকে সর্বশেষ এফ-১৬ বিমান সরবরাহ করা হয় ২০১২ সালে।

যুক্তরাষ্ট্রকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বাবদ ২০১৯ সালে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করে তুরস্ক। কিন্তু রাশিয়া থেকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ কিনায় টাকা পরিশোধ করার পরও ক্ষুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিতে অস্বীকৃত জানায়।

সূত্র: হুরিয়াত ডেইলি ও যুগান্তর