শিরোনাম
এবার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আরও কয়েকজন নেতা এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০১৬ সালের নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে বলে ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তা নিয়েই এতদিন পর মামলা করলেন এ রিপাবলিকান নেতা। খবর সিএনএন, রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের।
হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করার ৬ বছর পর ২০১৬ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ করে ডেমোক্র্যাট শিবির।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানা যায়, বৃহস্পতিবার হিলারি ক্লিনটন, ২০১৬ নির্বাচনে তার প্রচার দলের চেয়ারম্যান জন পোডেস্টা, সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমে, পারকিনস কোয়ি ল’ ফার্ম ও ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির নামে মামলা করেছেন ট্রাম্প।
ফ্লোরিডার একটি ফেডারেল আদালতে করা মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে হিলারি ক্লিনটন ও তার সহযোগীরা এক ‘অভাবনীয় ষড়যন্ত্র’ করেছিলেন, যা ছিল বিবেকের ওপর চরম আঘাত ও মার্কিন গণতন্ত্রের স্পষ্ট অবমাননা।
ট্রাম্পের মামলায় সাবেক ব্রিটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার স্টিলিকেও আসামি করা হয়েছে। ২০১৬ নির্বাচনি প্রচারণার সময় স্টিলি ট্রাম্পের কথিত গোপন তথ্য সংবলিত একটি ডসিয়ার তৈরি করেছিলেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাবরই এসব তথ্য ভুয়া বলে দাবি করে আসছেন এবং মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসও বলেছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোলা অনেক অভিযোগেরই সমর্থনযোগ্য কোনো প্রমাণ নেই।
রাশিয়ার যে বিশ্লেষক ডসিয়ারটি তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন, তাকে এফবিআই এজেন্টদের কাছে মিথ্যা বলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের বিষয়ে গবেষণার জন্য ফিউশন জিপিএস নামে যে বেসরকারি ফার্মকে ভাড়া করেছিল পারকিনস কোয়ি ল’ ফার্ম, তাদেরও আসামি করা হয়েছে বৃহস্পতিবারের মামলায়।
ট্রাম্প তার অভিযোগের বিষয়ে একটি জুরি ট্রায়াল আশা করছেন এবং মানহানিসহ অন্যান্য ক্ষতির জন্য অন্তত ৭ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
১০৮ পাতার অভিযোগে এও বলা হয়েছে যে, ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রতারণা করে জিতেছেন জো বাইডেন।
ট্রাম্পের অভিযোগ, আসামিরা বিদ্বেষপূর্ণভাবে একটি মিথ্যা গল্প বুনতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন যে, তাদের রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ একটি বৈরী সম্পর্কযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগসাজশ করছেন। তাদের ঐক্যবদ্ধ এই কর্মকাণ্ডের একটাই উদ্দেশ্য ছিল: ডোনাল্ড ট্রাম্পের মানহানি করা।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, আসামিরা ষড়যন্ত্র এগিয়ে নিতে ভুয়া প্রমাণ তৈরি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে প্রতারণা ও সংবেদনশীল তথ্যের উৎসগুলো বিনষ্ট করায় এতটাই আপত্তিকর এবং ধ্বংসাত্মক ছিল যে, এর সামনে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিও তুচ্ছ মনে হয়।
সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান ও যুগান্তর