শিরোনাম
পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আগে তার পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধী দলগুলো। কিন্তু বিরোধিদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছেন ইমরান খান। অনাস্থা ভোটে তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই ভোটে তিনি হেরে গেলে কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো তাকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।
চলতি মাসের শুরুতে বিরোধী দলগুলো ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব উত্থাপন করে। তাদের দাবি, সাবেক এই ক্রিকেটার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তার দলের ২০ জন আইনপ্রণেতা দলত্যাগ করার পর এই প্রস্তাব আনা হয় এবং তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে ইমরান খান বলেন, যাই ঘটুক না কেন, আমি পদত্যাগ করব না। লড়াই ছাড়া হাল ছেড়ে দেবেন না বলেও জানান তিনি। ইমরান প্রশ্ন করেন, কিছু মানুষের চাপে তাকে কেন পদত্যাগ করতে হবে?
দল ত্যাগের পাশাপাশি ইমরান খানের জোটের কিছু অংশীদার জানান যে, তারা বিরোধী দলে যোগ দিতে পারেন। বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিরোধী সদস্যরা বলছেন, শক্তিশালী সেনাবাহিনী থেকে ছিটকে পড়েছেন ইমরান।
কয়েক দশক ধরে দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে আসছে বলে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি নির্বাচনে ইমরানের দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যও সেনাবাহিনীর ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিরোধিরা।
তবে তাকে ক্ষমতায় বসাতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতার কথা বরাবরই অস্বীকার করেছেন ইমরান খান। সেনাবাহিনীও বলছে যে, তারা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে না। বিরোধী দলগুলো অর্থনীতি এবং পররাষ্ট্র নীতির অব্যবস্থাপনার জন্য ইমরান খানকেই দায়ী করে আসছেন। যদিও তিনি সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।