শিরোনাম
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী রোমান লেশচেঙ্কো। তার এক সহযোগী সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে লেশচেঙ্কোর পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার এক মাস পূর্তির দিনই ইউক্রেনীয় কৃষিমন্ত্রীর পদত্যাগের এ খবর সামনে এলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে লেশচেঙ্কোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা মাইকোলা সোলস্কি। মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনে জমির বাজার উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে আইনগত সংস্কারের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সোলস্কির। তার প্রচেষ্টায় দেশটিতে কৃষিজমি বিক্রির ওপর দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এটিকে ইউক্রেনের কৃষি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করে জেলেনস্কি সরকার।
বিশ্বের অন্যতম বড় কৃষি পণ্যের উৎপাদক ও রপ্তানিকারক ইউক্রেন। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গোটা বিশ্বের ওপর এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পদত্যাগের সপ্তাহখানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে রোমান লেশচেঙ্কো বলেছিলেন, ২০২১ সালের তুলনায় চলতি বছর ইউক্রেনের কৃষি উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যেতে পারে। রুশ আগ্রাসনের আগে ধারণা করা হয়েছিল দেশটিতে এ বছর দেড় কোটি হেক্টর জমিতে শস্যবীজ রোপণ করা হবে, কিন্তু যুদ্ধের কারণে এখন তা ৭০ লাখ হেক্টরে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউক্রেনীয় মন্ত্রী জানান, ২০২২ সালে কৃষকরা মোট ৬৫ লাখ হেক্টর জমিতে শীতকালীন গমের চারা রোপণ করেছিলেন, তবে অনেক এলাকায় যুদ্ধ চলার কারণে মাত্র ৪০ লাখ হেক্টর জমির ফসল তোলা সম্ভব হতে পারে।
যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে রাই, ওটস, লবণ, চিনি, মাংস রপ্তানি স্থগিত এবং গম, ভুট্টা ও সূর্যমুখী তেল রপ্তানিতে নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করেছে ইউক্রেন।