শিরোনাম
ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, ইউক্রেনের বাইরে যেন যুদ্ধ ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে ন্যাটোর দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সহায়তায় যা করা দরকার আমরা সব কিছু করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সম্প্রতি ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের নেতাদের বিশেষ সম্মেলন শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন। এমন খবর জানিয়েছে বিবিসি।
স্টোলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন অত্যন্ত নিষ্ঠুর। একই সঙ্গে সেখানে মানুষের ভোগান্তি দেখতে ভয়ানক লাগে। আমরা এ সংকটে চীনের ভূমিকা স্পষ্ট করতে সক্ষম হবো। ‘নির্লজ্জ মিথ্যা ও গুজব’ ছড়িয়ে চীন রাশিয়াকে রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৫ হাজার ৬০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৯২৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি