শিরোনাম
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক ও দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনিকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সম্পত্তি চুরির বিষয়ে জালিয়াতি এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাশিয়ার একটি আদালত তাকে এ দণ্ড দেন।
ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ ২৭ দিনের মাথায় নাভালনিকে এ দণ্ড দেওয়া হলো। আগামী দেড় বছর পর তার কারাবাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নতুন সাজায় তাকে অতিরিক্ত আরও আট বছর কারাগারে থাকতে হবে। ফলে শিগগির মুক্তি মিলছে না এ রুশ রাজনীতিকের।
২০১৪ সালের জালিয়াতির একটি মামলায় স্থগিত সাজার শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে নাভালনিকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় মস্কোর একটি আদালত। নাভালনি বর্তমানে পূর্ব মস্কোর একটি কারাগারে বন্দি। প্যারোলে মুক্তির শর্ত ভঙ্গ করার দায়ে তিনি এ দণ্ড ভোগ করছেন। এক বছর গৃহবন্দি থাকায় সাড়ে তিন বছরের এ সাজা নামে আড়াই বছরে।
গতকাল মঙ্গলবার মস্কোর বাইরে পোকরভ শহরের একটি কারাগারে নাভালনিকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। আদালতের রায়ের পর নাভালনি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে লিখেন- ‘পুতিন সত্যকে ভয় পান, আমি সবসময় এটি বলেছি। সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে লড়াই, রাশিয়ার জনগণের কাছে সত্য প্রচার করাই সবসময় আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল।’
ওই পোস্টে পুতিন সরকারকে উদ্দেশ্য করে রাশিয়ার নাগরিকদের তার দেশের ‘যুদ্ধাপরাধীদের’ প্রতিহত করার আহ্বান জানান নাভালনি।
এদিকে রায় ঘোষণার পরই নাভালনির দুই আইনজীবী ওলগা মিখাইলোভা ও ভাদিম কোবজেভকে কারাগারের বাইরে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের আগস্টে সাইবেরিয়ার টমসক শহর থেকে প্লেনে করে মস্কোয় ফেরার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। পরে প্লেনটি সাইবেরিয়ার ওমস্কে জরুরি অবতরণ করে এবং সেখানে একটি হাসপাতালে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জার্মানির বার্লিনে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন।
দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে গত বছর দেশে ফিরলে বিমানবন্দরেই গ্রেফতার হন নাভালনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই তাকে ‘বিষ প্রয়োগ’ করা হয়েছিল বলে তখন অভিযোগ করেন নাভালনি। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে পুতিন সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগে বলা হয়, পশ্চিমারা নাভালনিকে ব্যবহার করে রাশিয়ায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে।