শিরোনাম
এক তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের রামপুরহাট অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীরা। আর এই আগুনে অন্তত ১২ জন পুড়ে মারা গেছেন।
সোমবার রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে বোমা হামলায় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। ভাদু রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন।
তার বাড়ি রামপুরহাট থানা এলাকার বগটুই গ্রামে। সেখানে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে পালায় এক দল সন্ত্রাসী।
ঘটনার পর স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ভাদুকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ওই গ্রাম।
পর পর বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। দমকল জানিয়েছে, সোমবার রাতে তিন জনের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার করার পর মঙ্গলবার সকালে আরও সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সাত জনই একটি বাড়িতে ছিলেন। দমকলের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দশ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘তিন চারটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল। টিভি ফেটে আগুন লাগে। দমকল, পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, তার পর বলব’।
তবে উপপ্রধান খুনের সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘গতকালের ঘটনার সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমি তো ওখানে ছিলাম না। আমি সকালে খবর পেয়েছি। আমি যতদূর খবর পেয়েছি, একটি বাড়িতেই সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে’।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এটি একটি গ্রাম্য বিবাদের ঘটনা। তিনি টুইটে লেখেন, আগের দিন তৃণমূলের উপপ্রধানকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়। তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। রাতে আগুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ, দমকল ব্যবস্থা নিয়েছে।
টুইটে কুণাল লেখেন, ‘সরকার তৎপরতার সঙ্গে যা করার করছে। ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে। এসডিপিও-কে অপসারিত করা হয়েছে। ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা হবে। দুর্ঘটনা, না আগের খুনের প্রতিক্রিয়া, না ষড়যন্ত্র, সব খতিয়ে দেখা হবে’। সেই টুইটেই আবার কুণাল দাবি করেন, ‘এই আগুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই’।
সূত্র: টুইটার, দেশ রূপান্তর ও জাগো নিউজ