শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ মার্কিন প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। এ তালিকায় আরও আছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। রয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় রাশিয়া। খবর বিবিসি ও আল–জাজিরার।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নসের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। তালিকায় নাম রয়েছে জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের।
ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়ার অর্থনীতি ধসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। মূলত পশ্চিমাদের দেওয়া একের পর এক নিষেধাজ্ঞার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা রাশিয়ায় ভ্রমণ করতে পারবেন না বলে আল–জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভসহ নতুন করে দেশটির ৩৭০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে তাঁদের সম্পদ জব্দ করা হবে ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকবে। যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাও রয়েছেন।
মস্কোর পক্ষ থেকে যেসময় জাস্টিন ট্রুডোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেই সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কানাডার আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেশটির পার্লামেন্টে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন। এ সময় জেলেনস্কি বলেন, ‘গত ২০ দিনে যুদ্ধের মধ্যে আমরা বুঝতে পারছি সত্যিকার বন্ধু কারা।’
ইউক্রেনে নো–ফ্লাই জোন চালু করার আহ্বান জানিয়ে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘কল্পনা করুন তো, অন্য বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো এবং তাদের বলা—অনুগ্রহ করে আকাশটা বন্ধ করে দিন, বিমান চলাচল আটকে দিন, বোমাবর্ষণ থামান। এর জবাবে তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। আমরা আমাদের সঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলছি আর তারা বলছে, অনুগ্রহ করে আরেকটু ধৈর্য ধরো।’
রাশিয়ার বিমান হামলা ঠেকাতে নো-ফ্লাই জোন বা বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ অঞ্চল ঘোষণার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি বারবার দাবি জানিয়ে আসছেন জেলেনস্কি। কিন্তু তাঁর সেই আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন না পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা। তাঁরা বলছেন, এটা করা মানে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ানো।
অন্যদিকে পশ্চিমাদের সতর্ক করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যদি কোনো দেশ নো–ফ্লাই জোন বাস্তবায়নের দিকে যায়, তাহলে ধরা হবে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিয়েছে।