শিরোনাম
ফেসবুক স্ট্যাটাস আর বাস্তব যে এক নয় তা আরো একবার বুঝিয়ে দিল ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন।
অর্চনা গৌতম নামে এক ফেসবুক সেলিব্রিটিকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। ফেসবুকে অর্চনার ফলোয়ারের সংখ্যা সাড়ে ৮ লাখ। ইনস্টাগ্রামেও তারা সাড়ে ৭ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অর্চনার এই ব্যাপক জনপ্রিয় দেখেই হয়তো তাকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু ফলাফল যা পাওয়া গেল তাতে মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
ফেসবুকে সাড়ে ৮ লাখ ফলোয়ারের সেলিব্রেটি অর্চনা গৌতম বাস্তবে ভোটের লড়াইয়ে পেলেন মাত্র ১৫১৯ ভোট!
ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের খবর, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মেরঠ জেলার ওই কেন্দ্রে ১ লাখ ৭ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দীনেশ খাটিক। আর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী যোগেশ ভর্মা। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৭৫ ভোট।
অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার নিরিখে ওই দুই প্রার্থী অর্চনার ধারেকাছেও নেই। কিন্তু ভোটের রাজনীতিতে উল্টোটাই ঘটল। তাদের ধারে-কাছে ছিলেন না কংগ্রেসের এই প্রার্থী।
এমন ভরাডুবির পর টুইটারে অর্চনা লিখেছেন, ‘হস্তিনাপুরের মানুষ আমাকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এজন্য তাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জানাই। কিন্তু তারা তাদের এই মেয়েকে বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি। কোনো সমস্যা নেই। ভালোবাসা পেয়েছি, খুব শিগগিরই আপনাদের এই মেয়ে বিশ্বাসও অর্জন করবে। মায়ের পেট থেকে তো সবাই শিখে আসে না। শিশু যখন হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়, তখনই হাঁটতে শিখে।’
এমন লজ্জাজনক হারের পর নিজ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের নিয়েও সমালোচনা করেন অর্চনা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেন,‘উত্তর প্রদেশের রাজনীতি এখন ধর্ম ও ঈশ্বরের রাজনীতি হয়ে গেছে, তাই মনে হচ্ছে এবার ভোলেনাথকে সামনে এনে হর হর মহাদেব ভজন করতে হবে!’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অর্চনা গৌতমকে ‘বিকিনি গার্ল’ নামেই চেনে নেটিজেনরা। ২০১৮ সালে ‘মিস বিকিনি ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় সেরার খেতাব পেয়েছিলেন তিনি। বলিউডের বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন। উত্তরপ্রদেশের আঞ্চলিক ছবিতে নিয়মিতই অভিনয় করেন তিনি।