ইউক্রেনের পক্ষে ন্যাটোপ্রধানের নতুন হুঁশিয়ারি

ফানাম নিউজ
  ১৬ মার্চ ২০২২, ০৩:২৪

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ২০দিন পার হয়ে গেল। রুশ বাহিনীর হালমায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহর যখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত। 

এদিকে আশানুরুপ সহযোগিতা না পেয়ে যখন ভলোদিমির জেলেনস্কি হতাশায় পুড়ছেন তখন ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ।

এক সংবাদ সম্মেলনে স্টোলটেনবার্গ জানিয়েছেন, বুধবার ন্যাটোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা জোটের নিরাপত্তা বিষয়ে বৈঠকে বসবেন৷

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জনগণ তাদের বাড়ি-ঘর ও তাদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের অবশ্যই তাদের সমর্থন করতে হবে। আগামীকাল আমাদের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ যোগ দেবেন। সেখানে থাকবে আমাদের অন্যান্য অংশীদার জর্জিয়া, ফিনল্যান্ড, সুইডেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।’

স্টোলটেনবার্গ আরো বলেন, ‘বহু বছর ধরে, ন্যাটো মিত্ররা হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাদের অনেকেই এখন সামনের সারিতে লড়াই করছে। অ্যান্টি-ট্যাংক এবং বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্র, ড্রোন, গোলাবারুদ এবং জ্বালানীসহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে ন্যাটোর মিত্ররা। এই প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম ইউক্রেনকে আত্মরক্ষা করতে সাহায্য করছে তারা।’

ন্যাটো প্রধান বলেন, ‘ইউক্রেনের আত্মরক্ষার মৌলিক অধিকার রয়েছে, যা জাতিসংঘের সনদে অন্তর্ভুক্ত। সামরিক সরঞ্জাম এবং আর্থিক ও মানবিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ন্যাটো মিত্র এবং অংশীদাররা ইউক্রেনকে সেই অধিকার বজায় রাখতে সহায়তা করতে থাকবে।ন্যাটোর মূল কাজ হল সমস্ত মিত্রদের রক্ষা করা এবং রক্ষা করা।’

রাশিয়াকে হুশিয়ারি দিয়ে স্টোলটেনবার্গ বলেন, ‘জোট জুড়ে এখন কয়েক হাজার বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। ইউরোপে এক লাখ মার্কিন সেনা। এবং প্রায় ৪০,০০০ সৈন্য সরাসরি ন্যাটো কমান্ডের অধীনে রয়েছে।’ 

উরোপের পূর্ব দিকে শক্তি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেন ন্যাটোপ্রধান। বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বেলারুশের সাথে এর সামরিক একীকরণ, ইউরোপ মহাদেশে একটি নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতা তৈরি করেছে। তাই এই নতুন বাস্তবতার জন্য আমাদের সামরিক অবস্থানকে নতুন করে প্রস্তুত করতে হবে। আগামীকাল সমস্ত ডোমেইনে দীর্ঘমেয়াদে আমাদের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য মন্ত্রীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু করবেন। আমরা আমাদের নৌ এবং বিমান সেনা মোতায়েনও ‘বড় ধরনের বৃদ্ধির’ বিষয়টি বিবেচনা করবো। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং সাইবার প্রতিরক্ষাও বৃদ্ধি করা হবে। আমি আশা করি যে আমরা জুনে আমাদের মাদ্রিদ শীর্ষ সম্মেলনের বিকল্পগুলো তৈরি করার জন্য ন্যাটোর সামরিক কমান্ডারদের দায়িত্ব দেব।’

তথ্যসূত্র: ন্যাটো ইন্টারন্যাশনাল (ওয়েবসাইট)