শিরোনাম
ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে দেশটির সেনাদের গুলিতে ফের প্রাণ গেছে এক কিশোরসহ তিনজন ফিলিস্তিনির। জানা গেছে, ওই এলাকায় অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতেই নিহত হন নাদের রায়ানসহ আরও দুইজন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে নাবুলাস শহরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হন ১৭ বছর বয়সী নাদের রায়ান। তার মাথায়, বুকে ও হাতে গুলি লাগে। এ ঘটনায় আহত হন আরও তিনজন ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেন যে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তিনি দাবি করেন, একজন ‘সন্ত্রাসী’ ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে পাল্টা গুলিতে সে নিহত হয়।
এদিকে, বালাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আম্মার আরাফাত নামে একজনকে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম বলছে, বেশ কয়েক মাস ধরে আরাফাত ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে পলাতক আসামি ছিল। তার বাড়িতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। তার পরিবারকেও হুমকি দেওয়া হয়। তাকে গ্রেফতারের পর দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আহত হন তিনজন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
জেরুজালেমের উত্তরে কালান্দিয়া শরণার্থী শিবিরে নিহত হন আরও এক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় মাথায় গুলি লেগে মারা যান ২০ বছর বয়সী একজন। কালান্দিয়া পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিমতীরের মূল চেক পয়েন্ট।
এ ছাড়া ইসরায়েলিদের হামলায় ২৭ বছর বয়সী আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সরকার, পশ্চিম তীরে এক হাজার ৩৫৫টি বাড়ি নির্মাণের কাজ করছে। দুই হাজারের বেশি বাসিন্দা থাকবে সেখানে। গত আগস্টে পশ্চিম তীরে এসব বসতি নির্মাণের অনুমোদন দেয় ইসরায়েল সরকার।
সূত্র: আল-জাজিরা