শিরোনাম
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইউক্রেনর রাজধানী কিয়েভের ওপর ফের যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যান্টোনোভ সিরিয়াল প্রোডাকশন প্ল্যান্টের উপর একের পর এক গোলাবর্ষণ হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, মঙ্গলবারের এই হামলায় দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও সাত জন। ওই বিমান প্রস্তুতকারক কারখানা থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
কিয়েভের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতভর উত্তর-পূর্ব কিয়েভে বোমা এবং গোলাবর্ষণ করেছে রুশ সেনা। হামলা চালানো হচ্ছে পূর্ব কিয়েভেও। অন্য দিকে, উত্তর-পশ্চিমের ইরপিন, বুচা এবং হসটোমেলে গত কয়েক দিন ধরেই হামলার তেজ বাড়িয়েছে রাশিয়া।
বিমান হামলার পর, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ৩৫ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো এ ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিরতিহীন এই কারফিউ জারি করা হয়েছে।
ওদিকে, চূড়ান্ত হামলা চালানোর আগেই ফুরিয়ে যেতে পারে রাশিয়ার গোলাবারুদ এবং সৈন্যবল। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন আমেরিকার প্রাক্তন সেনাকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল বেন হজেস। তার মতে, চূড়ান্ত লক্ষ্য বলতে যা বোঝায়, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে রাশিয়ার সময় লাগবে আর ১০ দিন। কিন্তু সেখানে পৌঁছতেই রাশিয়ার হাতে না থাকবে গোলা, না থাকবে কোনও সৈন্যবল!
ইতিমধ্যেই যুদ্ধ ১৯ দিন পেরিয়ে ২০ দিনে গড়িয়েছে। রুশ হামলার তেজ বেড়েই চলেছে ইউক্রেনের শহরগুলিতে। এক একটি শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাঁখাঁ করছে শহর। শহরের পর শহর ছেড়ে লাখ লাখ লোক পালাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং রোমানিয়ায়।
রাশিয়া একসাথে কয়েকটি ফ্রন্টে আগ্রাসন চালাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রতিরোধ যদিও প্রত্যাশার চেয়েও শক্তিশালী কিন্তু রাশিয়ার বাহিনী দক্ষিণে একের পর এক জায়গা দখল করছে এবং ধীরে ধীরে কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর