শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে দেশটির কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে— ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য চীনের কাছে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের রিপোর্টকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে চীন।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিয়্যু পেংগ্যিউ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন যে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো আহ্বান কিংবা অনুরোধ এখন পর্যন্ত আসেনি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আমরা এখনও এ ধরনের কোনো সহায়তার অনুরোধ (রাশিয়ার কাছ থেকে) পাইনি। মূলত অশুভ উদ্দেশ্যে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম এসব অপতথ্য ছড়াচ্ছে।’
রোববার ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে চীনের কাছে রাশিয়ার সামরিক ও আর্থিক সহায়তা চাওয়ার সংবাদ প্রকাশ করে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়, রাশিয়া চাইছে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করুক চীন।
এর আগে চীনের কাছে রাশিয়ার সামরিক ও আর্থিক সহায়তা চাওয়ার এই খবরটি প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে আগ্রাসনের শুরু থেকেই সামরিক সরঞ্জামের জন্য বেইজিংকে অনুরোধ করে আসছে মস্কো এবং সেই অনুরোধের সাড়া দিয়ে বেইজিং সাহায্য করতে প্রস্তুত— এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি পৃথক প্রতিবেদনে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রভাব প্রশমিত করার জন্য বেইজিংয়ের কাছে সমরাস্ত্রের পাশপাশি অর্থনৈতিক সহায়তাও চাইছে মস্কো।
এসব প্রতিবেদনকে আমলে নিয়ে এরইমধ্যে চীনকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সোমবার বেইজিংয়ের উদ্দেশে বলেন, বেইজিং রাশিয়াকে ঠিক কতটা অর্থনৈতিক বা অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে কি না সেটি ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তেমন কিছু ঘটলে (চীনের বিরুদ্ধে) পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সুলিভানের এই বক্তব্যের জবাবে লিয়্যু পেংগ্যিউ বলেন, ‘ইউক্রেনে এখন চরম বিশৃঙ্খলা চলছে এবং চীন যে দুই পক্ষের উত্তেজনা প্রশমন ও ওই অঞ্চলে শান্তির জন্য কাজ করছে— তা সবাই জানে।’
উত্তেজনা হ্রাসে সকল পক্ষকে বিরত থাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগুনে ঘি ঢালা উচিত নয়।’